পেকুয়ায় শেষ মুহূর্তে দুর্গাপূজার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সনাতন ধর্মাবলম্বীরা
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমা সজ্জিত করার কাজ শেষ করছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শেষ মুহূর্তে পূজা উদযাপনে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে তারা।
পূজাকে সামনে রেখে পেকুয়া উপজেলা প্রশাসন ও থানা প্রশাসন থেকেও নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উপজেলার ৩টি ইউপিতে মোট ৯টি মণ্ডপে পূজার প্রতিমা সজ্জিত করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ৯টি মণ্ডপের মধ্যে ৫টিতে আয়োজন হবে প্রতিমা পূজা বাকি ৪টিতে হবে ঘট পূজা।
৫টি প্রতিমা পূজা ও ৪টি ঘট পূজার মধ্যে শিলখালী ইউপিতে ১টি প্রতিমা পূজা ১টি ঘট পূজা, বারবাকিয়া ইউপিতে ২টি প্রতিমা পূজা ১টি ঘট পূজা, পেকুয়া সদর ইউপিতে ২টি প্রতিমা পূজা ২টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা।
আয়োজিত মণ্ডপগুলোর মধ্যে শিলখালী শিলপাড়া সার্বজনীন হঁরি মন্দিরে প্রতিমা পূজা। শিলখালী শিলপাড়া বিষ্ণু মন্দিরে ঘট পূজা। বারবাকিয়া ইউনিয়নে শ্রী শ্রী লোকনাথ বাবার মন্দিরে প্রতিমা পূজা, বারবাকিয়া ইউনিয়নে উত্তর নাথ পাড়া হরি মন্দিরে প্রতিমা পূজা। বারবাকিয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ঘট পূজা। পেকুয়া সদর কেন্দ্রীয় সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে প্রতিমা পূজা। পেকুয়া সুশীল পাড়া সার্বজনীন মন্দিরে প্রতিমা পূজা। ডাক্তার রনধীর বিশ্বাস এর বাড়ি ঘট পূজা। রুপক বিশ্বাস এর বাড়ি ঘট পূজা।
পেকুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে আমাদের পূজা উদযাপন করা হবে। উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ তাজ উদ্দিন বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজাকে নিয়ে পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আশা করি ভালমতে শেষ হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। তবে প্রত্যক মণ্ডপে পুলিশ টহল থাকবে এছাড়াও স্পেশাল টিম টহলে থাকবে যাতে করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত না হয়।