পেকুয়ায় সন্ত্রাসী মিন্টু হত্যার ঘটনায় ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ১

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় অবৈধ বালি মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী মিন্টু মিয়া (৪০) হত্যার ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। সাতজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ১২/১৫ জনকে আসামি করে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) মিন্টুর স্ত্রী রাশেদা বেগম বাদি হয়ে পেকুয়া থানায় (০৪/২০) মামলা রুজু করেন।

এদিকে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোররাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে হাবিব উল্লাহ (২৪) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত হাবিবউল্লাহ পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়া এলাকার অলি আহমদের ছেলে।

পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার  আসামি গ্রেফতার ও মামলা রেকর্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত হাবিবউল্লাহ থানা হেফাজতে রয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।

জানা গেছে, বুধবার বিকেলে বালি মহালের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের পুঁর্ব পুঁইছড়ি গ্রামের মৃত,আহমদ মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়ার সাথে টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়া গ্রামের অলি আহমদের ছেলে জয়নাল আবেদীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময়  প্রতিপক্ষের লোকজন মিন্টু মিয়াকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে নৃশংস্যভাবে হত্যা করে।

এ ঘটনায় জয়নালের স্ত্রী হাসিদা বেগমকে (৩৮) কুপিয়ে বাম হাতের কব্জি শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন ও ছোট ভাই হাবিবউল্লাহকে কুপিয়ে জখম করে অপরপক্ষের লোকজন। এর আগে মিন্টু মিয়ার নেতৃত্বে ৮/১০জন সন্ত্রাসী জয়নালের বাড়িতে হানা দেয়।

এ সময় বনবিভাগের রিজার্ভ জমি বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে মিন্টু মিয়া ও জয়নালের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা জয়নালকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসে। জুমপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কালভার্টের উপর দু’পক্ষের মধ্যে খুনাখুনি হয়।

স্থানীয়রা জানায়, জুমপাড়া ও পুঁইছড়ি কাছাকাছি অবস্থান। দুগর্ম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় অপরাধ কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয় বেশি। পুঁইছড়ির লোকজন জুমপাড়া এসে প্রভাব বিস্তার করে। মিন্টুর নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একটি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ডাকাত সিন্ডিকেট গড়ে উঠে। পাহাড়ি জনপদে তাদের সাম্রজ্য। এসব অস্ত্রধারীদের অত্যচারে অতিষ্ট টইটংয়ের জুমপাড়া,পুর্বপাড়াসহ চার গ্রামের ৬হাজার জনগণ।

এসব অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যা, অস্ত্র ও অসংখ্য বন মামলা রয়েছে। এদিকে  হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর থেকে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। অনেকে এলাকা ছেড়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আটক, কক্সবাজার, মামলা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন