পেকুয়ায় স্বামীর সাথে রাগ করে স্ত্রীর আত্মহত্যা 

fec-image

কক্সবাজারের পেকুয়ায় মালেশিয়ায় অবস্থানরত স্বামী আবুল কাশেমের সাথে মুঠোফোনে ভিডিও কলে আলাপচারিতায় অমিল হলে গলায় ফাঁস দিয়ে নিজ শয়ন কক্ষে আত্মহত্যা করেছে স্ত্রী নাজমা সোলতানা ববি (২২)।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউপির ভারুয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত নাজমা সোলতানা ববি চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউপির ৩নং ঘোনার ছৈয়দ মিয়ার মেয়ে।

ঘটনার খবর পেয়ে পেকুয়া থানা পুলিশ রাতেই নিহত গৃহবধূ নাজমা সোলতানা ববির লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এদিকে নিহত গৃহবধূর পিতা ছৈয়দ মিয়া দাবি করেছেন, বিগত দুই বছর আগে তার মেয়ের সাথে পেকুয়ার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ভারুয়াখালী এলাকার আব্দু ছালামের ছেলে কাশেমের বিয়ে হয়। ১৬ মাস আগে স্বামী মালেশিয়ায় চলে যায়। বিয়ের পর থেকে একদিনের জন্যও পিতার বাড়িতে বেড়াতে যেতে পারেনি আমার মেয়ে। এক প্রকার গৃহবন্দী হিসাবে জীবন পার করেছে তার আইয়ান নামের চৌদ্দ মাসের এক শিশু সন্তানের মুখের দিকে থাকিয়ে। যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়ত চলতো তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বিয়ের কয়েকমাস সুখে কাটলেও যৌতুকলোভী স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে চালাতো নিপীড়ন।

মেয়ের স্বামীর ভিসার জন্য এক লক্ষ টাকা যৌতুক দিয়েছি। এরপরেও ক্ষান্ত হয়নি। সর্বশেষ তাকে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন। আমি আমার মেয়ে হত্যার মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

তবে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, স্বামীর সাথে অভিমান করে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। স্বামী আবুল কাসেম রাতে কল দিয়েছিল ববির মুঠোফোনে। এ সময় তিনি বাড়ির উঠানে অন্যদের সাথে গল্পগুজবে ছিল। যথা সময়ে কল রিসিভ না করায় দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। কথা বলতে বলতে ববি রুমের দরজা বন্ধ করে আত্মহত্যা করে। পরে বাড়ির লোকজন এসে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়।

এ ঘটনার পর নিহত গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে পেকুয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কানন সরকার ঘটনার সত্যতা জানিয়ে তিনি বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা, পেকুয়ায়
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন