parbattanews

পেকুয়ায় ১৫ দিনে হত্যা ও আত্মহত্যায় প্রাণ হারালো ৬ জন

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে আত্মহত্যার প্রবণতা। গত দু’সপ্তাহের ব্যবধানে আত্মহত্যায় প্রাণ হারালো ৫ জনের। খুন হয়েছে ১ জন। তৎমধ্যে তিনজন পুরুষ ও তিনজন নারী রয়েছে। এদের মধ্যে তিন দিনের ব্যবধানে তিনজন প্রাণ হারান আত্মহত্যায়। হঠাৎ আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাবিয়ে তুলেছে সচেতন মহলকে। প্রেমজনিত, জোর করে বিয়ে দেওয়া, জায়গা-জমির বিরোধে সহোদরের সাথে অভিমান, মা বাবার সাথে অভিমান করে তারা প্রাণ হারায়।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ জুলাই পেকুয়া সদর ইউনিয়নের মগকাটা এলাকার সেকান্দার আলীর ছেলে ব্যবসায়ী আব্বাস উদ্দিন (২৫) বিষপানে আত্মহত্যা করে। লেনদেন সংক্রান্ত কারণে সে আত্মহত্যা করে বলে জানা গেছে। ২৬ জুলাই সদর ইউনিয়নের মছিন্যাকাটা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে মাইনুল ইসলাম মানিক (২৮) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ভাইয়ের সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।

অপছন্দের ব্যক্তিকে জোর করে বিয়ে দেয়ার চেষ্টায় মা-বাবার সাথে অভিমান করে ২৭ জুলাই উজানটিয়া ইউপির মাদরাসা ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া (২০) গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। ২৫ জুলাই বারবাকিয়া ইউপির পাহাড়িয়াখালী এলাকার বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের পিতা জাফর আলমকে (৬২) প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।

১ আগস্ট মগনামা ইউপির মরিচ্যাদিয়া এলাকার বজল মিয়ার ছেলে আবু তাহের (৩৭) বসতভিটার বিরোধে ভাইয়ের সাথে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করে।
২ আগস্ট শিলখালী ইউনিয়নের তিনঘর পাড়া গ্রামের ফয়েজ আহমদের কন্যা আরজু বেগম (১৭) নামের এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। মা-বাবার সাথে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে স্থানীয়রা জানায়।

পেকুয়া থানার ওসি তদন্ত তাজউদ্দিন জানান, প্রতিটি আত্মহত্যার ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু রুজু হয়েছে।

Exit mobile version