parbattanews

পেকুয়ায় ২৪ বছরেও নির্মিত হয়নি পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার

pic

এম.জুবাইদ, পেকুয়া  (কক্সবাজার) :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় লক্ষাধিক মানুষ দূর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পেকুয়ায় দূর্যোগ মোকাবেলা করতে সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন ধরণের উদ্যোগ নেয়া হয় না। এখনো অরক্ষিত রয়েছে পেকুয়ার একাধিক বেড়িবাধ, নেই ঘূণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। যার ফলে উপকূল এলাকার হাজারো মানুষ চরম ঝুঁকিতে বসবাস করছে। চরম আতংকে রয়েছে উপকূলবাসী।

পেকুয়া উপজেলার সমুদ্র উপকূলবর্তী মগনামা, উজানটিয়া, রাজাখালী, পেকুয়া সদর ও বারবাকিয়া ইউনিয়নের মানুষ বর্ষা মৌসুমে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ও জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হতে হয়। স্থানীয়রা জানান, পেকুয়ার উপকূলীয় এলাকার মানুষ বছরের প্রায় ৬/৭ মাস বৈরী আবহাওয়ার সাথে লড়াই করে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। ঘূর্ণিঝড় মোবাবেলায় পেকুয়ায় বর্তমানে যে আশ্রয়ন কেন্দ্র আছে তাও জনসংখ্যার তুলনায় কম।

পেকুয়া উপজেলায় পর্যাপ্ত আশ্রয়ন কেন্দ্র না থাকায় ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্মরণকালের ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছাসে প্রায় ৩০ হাজারের ও অধিক লোকর মৃত্যু হয়। বিলিন হয়ে যায় ঘরবাড়ী, চিংড়ির ঘের। এসব বিনষ্ঠ হয়ে চার কোটিরও অধিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।

এ ব্যাপারে উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, ১৯৯১ সালের চেয়েও বর্তমানে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে আমার ইউনিয়নের লোক। অরতি বেড়িবাধের ফলে সামান্য জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায় বিস্তির্ণ এলাকা। এ ইউনিয়নের করিয়ারদিয়া এলাকার ১ কিলোমিটার ও গোদারপাড় এলাকার দেড় কিলোমিটার বেড়িবাধ ছাড়া উজানটিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩৫ কিলোমিটার বেড়িবাধ বর্তমানে অরতি। যেকোন মুহুর্ত ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাধ ভেঙ্গে গিয়ে তলিয়ে যেতে পারে এলাকার লবণ, চিংড়ির ঘের। এ ইউনিয়নের ১০ টি স্কুলকাম সাইক্লোন শেল্টার রয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে পেকুয়ার চর, টেকপাড়া, ঘোষালপাড়া এলাকায় আরো ২/৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রয়োজন।

এ দিকে রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান আমার এলাকায় যে আশ্রয় কেন্দ্র আছে তা ও জনসংখ্যার তুলনায় কম। জরুরি ভিত্তিতে বকশিয়া ঘোনার টেক থেকে নতুন ঘোনা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাধ চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে পেকুয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মীর শওকত হোসেন জানান, উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য ৮০ টি সাইক্লোন শেল্টার বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। তবে পেকুয়া উপজেলার জন্য ৭ টি সাইক্লোন শেল্টার বরাদ্ধ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মগনামায় ৩টি, রাজাখালীতে ২টি, বারবাকিয়াতে ১টি, উজানটিয়াতে ১ টি সাইক্লোন শেল্টার নিমার্ণ করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু জানান, সরকার পেকুয়া উপজেলার জন্য ৭ টি সাইক্লোন শেল্টার বরাদ্ধ দিয়েছে সেগুলো খুব দ্রুত নিমার্ণ করা হবে।

Exit mobile version