পেকুয়ায় ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা : আটক -২
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৬ষ্ট শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা চালানো হয়েছে। এ সময় স্থানীয়রা জুমপাড়া থেকে দুই জনকে আটক করে পেকুয়া থানা পুলিশকে সোপর্দ করে।
রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের লামার ঢুইল্যার ঝিরি নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন টইটং ইউপির বটতলী মাদ্রাসা পাড়ার বাদশাহ মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন (২৭) ও জুমপাড়া এলাকার মো. পেঠানের ছেলে নুরুল আমিন (১৫)।
ভিকটিম একই এলাকার মনছুর আলমের মেয়ে ও বটতলী শফিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। ভিকটিম জানায়, সকালে চারজন মিলে পাহাড়ে লাকড়ী কুড়াতে গিয়েছি। ঢুইল্যার ঝিরি নামক স্থানে পাহাড়ি ঝিরিতে কয়েকজন শিশু গোসল করছিল। ঝিরির পাশে লাকড়ী কুড়ানো অবস্থায় তিনজন যুবক আসে। তারা শিশুদের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। এ সময় তারা আমাকে বিশ্রী ভাষায় প্রস্তাব দেয়। জসিম উদ্দিন নামের এক যুবক তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে। আমি চিৎকার দিলে কয়েকজন নারী পুরুষ এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী জমির হোসেন জানায়, মেয়েটি কান্নাকাটি করছিল। তিনজন ছেলে তাকে বাজে প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানায় মেয়েটি। আমি তাকে জুমপাড়া ষ্টেশনে নিয়ে আসি। অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন ও রমজান আলী জানায়, আমরা পাহাড়ে সেলফি তুলতে গিয়েছিলাম। দুষ্টমী করে মুখ চেপে ধরেছি। শিশুদের এমনি ভয় দেখিয়েছি। তবে নুরুল আমিন বাজে প্রস্তাব দিয়েছে।
ইউপি সদস্য আবুল কাছিম জানায়, কয়েকজন শিশু মিলে সকালে পাহাড়ে লাকড়ি কুড়াতে যায় মেয়েটি। দুপুরে তিন ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ চেষ্টা চালায় বলে শুনেছি। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
ভিকটিমের পিতা মনছুর আলম জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ চেষ্টা চালানো হয়েছে। পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানায়, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।