parbattanews

পেকুয়া বাজারে প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীন সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য

 

নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া :

কক্সবাজারের উপকূলীয় অঞ্চলের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজারটি সাপ্তাহিক হাটের দিন ছাড়াও প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার লোক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সংগ্রহ করে থাকে। পেকুয়া, কুতুবদিয়া উপজেলা ছাড়াও বাশখালী ও চকরিয়ার অনেক ব্যবসায়ী এ বাজার থেকে পাইকারী মালামাল সংগ্রহ করে থাকলেও বিশাল এ বাজারের প্রধান সড়কসহ অভ্যন্তরীন সড়কগুলো একটু বৃষ্টিতে পানির নীচে তলিয়ে যায়। দেড় হাজারের অধিক ব্যবসায়ী ও তাদের ক্রেতারা বিপাকে পড়ে গিয়ে ক্রয় বিক্রয়ে চরম অসুবিধার সম্মূখীন হচ্ছে।

বাজারের পানি নিংস্কাশনের নালাগুলো পরিস্কার বা সংস্কারের উদ্যোগ কেউ নেয়নি। বাজারের ব্যবসায়ীদের নিত্য ব্যবহারের পানিও ভরাট থাকার কারণে ও সড়কগুলো নালা থেকে নীচু স্থরের হওয়ায় রাস্তায় নেমে আসে। মনে হয় অতি ব্যস্ত এ বাজারটি সব সময় জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে আছে। কাঁচা বাজারের রাস্তাগুলোতে মহিলা ও শিশুরা হাটতে পারেনা।

প্রতি বছর সরকারকে ২৫ থেকে ২৭ লাখ টাকার রাজস্ব দিয়ে এ বাজারের ইজারা হলেও ক্রেতা বিক্রেতার সুবিধার্থে কোন উন্নয়ন কার্যক্রম হয়না। পান বাজার সড়কটি পাকা করা হলেও অতিনিম্নমানের কাজ ও নালা থেকে নীচু স্তরে সড়ক নির্মাণ করায় মাছ বাজারের ও তরকারী বাজারে অংশে পুরো বছরই সড়কটি পানির নীচে থাকে । বাজারের নির্দিষ্ট কোন ডাস্টবিন না থাকায় খোলা জায়গায় ময়লা আবর্জনা মাছ বাজার ও তরকারী বাজারের পাশে রাখায় দূর্গন্ধে বাতাস ভারী থাকায় ওই পথ দিয়ে চলাচল ও ওই স্থানের পাশের ব্যবসায়ীদের কাছে ক্রেতা যেতে পারেনা বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ তুলেছেন।

প্রধান সড়কটি বাজার এলাকার পুরো অংশ খানাখন্দকে জরাজীর্ণ থাকায় স্বর্ণের মার্কেট, কাপড়ের মার্কেট, কসমেটিকস মার্কেটসহ প্রধান সড়ককেন্দ্রিক গড়ে ওঠা ব্যবসা বাণিজ্যে সাথে সংশ্লিষ্টরা বর্ষাকালে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই রাস্তা নালা নর্দমার সাথে একাকার হয়ে স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আর দ্রুত গতিতে গাড়ী সরে যেতে না পেরে প্রায় সময় প্রধান সড়কে যানজট লেগে থাকে।

ব্যবাসয়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, জন চাহিদা অনুযায়ী দ্রব্য সামগ্রীর মওজুদ এ বাজারে থাকলেও অভ্যন্তরীন যোগাযোগ ও ক্রমাগত সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর কারণে ব্যবসা বাণিজ্যে ধ্বস নেমেছে। ব্যবসায়ীরা আরো অভিযোগ করেন, বর্ষা শুরুর পূর্বে অভ্যন্তরীন সড়ক গুলো সংস্কার করা না হলে পুরো বাজারটিই পূর্বের মতো নালা নর্দমায় পরিণত হয়ে থাকবে ক্রেতা বিক্রেতাদের দূ:খ দূ:খই থেকে যাবে।

Exit mobile version