কাপ্তাই প্রতিনিধি:
কাপ্তাই চিৎমরম ইউনিয়নের দূর্গমপাহাড়ী এলাকায় ১৯৮৬সালে স্থাপিত পেকুয়া জুমিয়া পুর্ণবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জড়াজির্ণ অবস্থা হতে মুক্তি পেয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেল ঐ এলাকার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্টি শিক্ষার্থীরা।
প্রতিটি এলাকায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাকাভাবে নির্মাণ করা হলেও এ এলাকার বিদ্যালয়টি সংস্কা করা হয়নি।
সংস্কারের অভাবে জুমিয়া স্কুল ঘরটি নড়ভরে ছিল। পাঠদান দিতে বিভিন্ন সমস্যা হত। স্কুলের চারপাশ ছিল ভাঙ্গা। যার ফলে এলাকার শিক্ষাথীরা পাঠদান করতে গিয়ে ভয় পেত। কখন ভেঙ্গে পড়ে যায়। এলাকার প্রায় ৫০/৬০জন শিক্ষার্থী স্কুলে নিয়মিত লেখা পড়ে করে। শিক্ষক ৫জনের মধ্যে আছে মাত্র ২জন।
অত্র চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান খ্যাইসাঅং মারমা বলেন,বিদ্যালয়টি বহদিন যাবত সংস্কারনিহীন পড়ে আছে তার মধ্যে শিক্ষক সংকট। পাঁচ জনের মধ্যে আছে ২জন। প্রতিটি মাসিক সভা এ বিদ্যালয়টির মেরামতের কথা বলা হলেও সংস্কার করা হয়না বলে উলেখ করেন। তিনি বলেন,বিদ্যালয়টি সংস্কার করার জন্য একজন ঠিকাদার গতবছর কাজ নিয়ে সামান্য পরিমান কাজ কর তা ফেলে চলে আসে। এদিকে কাপ্তাই এলজিইডি প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান ,স্কুল জায়গার মালিক অন্যজন হওয়ায় আপত্তি থাকার দরুন কাজ করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন। এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের পড়া লেখার পরিবেশ তৈরির করার জন্য এডিবির অর্থায়নে একলাখ টাকা দিয়ে বিদ্যালয়টি টিনের বেড়া দিয়ে সংস্কার করে দেয় বলে উল্লেখ করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষাথীরা ও অভিভাবকরা বলেন,আমরা অবশেষে জড়াজির্ণ অবস্থা হতে মুক্তি পেয়েছি। শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত পাঠদান করছে। এলাকার অভিভাবকরা অত্র ইউপি চেয়ারম্যানকে এ উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জ্ঞাপন করেন।