পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা
আগের ম্যাচে স্বাগতিক প্যারাগিুয়ের বিপক্ষে হারের তেতো স্বাদ পেয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। পেরুর বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনি। কারণ, দলের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ খেলোয়াড় চোটের কবলে। শেষ পর্যন্ত এটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়নি তাদের জন্য। চোট জর্জরিত দল নিয়েই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার (২০ নভেম্বর) নিজেদের মাঠ বুয়েনস আয়ার্সে পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। এটাই ছিল চলতি বছর আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ। জয় দিয়ে বছর শেষ করা আর্জেন্টিনা লাতিন অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থেকেই এ বছরকে বিদায় জানাচ্ছে।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কনমেবল অঞ্চলে ১২ ম্যাচে ৮ জয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্জেন্টিনা। সমান ম্যাচে আপাতত ২০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুইয়ে উরুগুয়ে।
এদিন পেরুর বিপক্ষে একাদশ সাজাতেই হিমশিম খাচ্ছিল আর্জেন্টিনা। দলের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ খেলোয়াড় চোটেতে পড়ায় অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সিমিওনেও দলে জায়গা পান। তবে পেরুর বিপক্ষে মাঠে তার কোনও অবদান ছিল না। ম্যাচের প্রথমার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণ করেও গোলের দেখা পায়নি মেসিরা।
ফলে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য। এই অর্ধে স্বাগতিকদের হয়ে আলভারেজ গোলের কাছে গেলেও সেটা আঘাত করে বারে। ম্যাকঅ্যালিস্টারও হেড করে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যে রাখতে পারেননি শট।
ম্যাচের ভাগ্য বদলে যাওয়া মুহূর্তটির জন্ম নেয় বিরতির দশ মিনিট পর। যার কারিগর ছিলেন লিওনেল মেসি। গোল মুখে লাউতারো মার্টিনেজকে দুর্দান্ত ক্রস দেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। সেই ক্রস থেকেই অসাধারণ ভলিতে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছেন ইন্টার মিলান তারকা। যা ছিল দেখার মতো।
৫৫ মিনিটে বক্সের বাম প্রান্তে থাকা মেসিকে ঘিরে ধরেছিলেন কয়েকজন পেরু ডিফেন্ডার। বোঝাই যাচ্ছিল আর্জেন্টাইন তারকাকে সামনে অগ্রসর হতে দিতে চান না তারা। কিন্তু ৮বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী উপায় খুঁজে নেন মুহূর্তেই। ডান দিকে ভাসানো ক্রস দিলে শূন্যে লাফিয়ে দর্শনীয় এক গোল করেন লাউতারো মার্টিনেজ। তাতে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার পাশে বসেছেন ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার। তার গোল সংখ্যা এখন ৩২টি।
স্বাগতিক দল বল দখলে এগিয়ে ছিল ৭৩.৬ শতাংশ। কিন্তু লক্ষ্যে শট ছিল তিনটি। অপর দিকে তলানির দল পেরু কোন শট-ই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী ম্যাচের জন্য আর্জেন্টিনাকে অপেক্ষা করতে হবে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত। সে সময় উরুগুয়ে আর ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।