পেহেলগামে হামলার ৩ দিন আগেই মোদি জানতেন: কংগ্রেসের সভাপতি


ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মঙ্গলবার খাড়গে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগাম গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল সেটা সরকার মেনে নিয়েছে। তা শুধরে নেওয়ার চেষ্টাও করছে কেন্দ্র। কিন্তু আগে থেকেই যদি হামলার খবর ছিল, তাহলে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না?
এ কারণে বিজেপির এই নেতা শেষ মুহূর্তে কাশ্মীর সফর বাতিল করেন বলেও দাবি তাঁর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু ও কাশ্মীরে সম্ভাব্য সন্ত্রাসবাদী হামলার বিষয়ে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েছিলেন বলে দাবি খাড়গের। যার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর সফর বাতিল করেছিলেন। তাঁর প্রশ্ন, গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য থাকা সত্ত্বেও কেন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করল না প্রশাসন?
খাড়গে বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলার তিন দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল। সংবাদপত্রেও এ বিষয়ে পড়েছি। কেন্দ্রীয় সরকার মেনে নিয়েছে, ২৬ জন পর্যটক খুনের ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল। আসলে তারা আগাম জানতে পেরেও কিছু করেনি।’
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘প্রকাশিত কয়েকটি খবরে আগেই দাবি করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয় ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (আইবি) এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সম্ভাব্য হামলার খবর এসেছিল। এপ্রিল মাসেই সেই হামলা হতে পারে বলে জেনেছিলেন গোয়েন্দারা। মোদির জম্মু ও কাশ্মীরে যাওয়ার কথা ছিল ১৯ এপ্রিল। কিন্তু তা বাতিল করা হয়েছিল।’
উল্লেখ্য, পেহেলগাম হামলার কয়েকদিন পরে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, পর্যটকদের ওপর যে হামলা হতে পারে তার আগাম খবর গোয়েন্দারা দিয়েছিলেন।
যদিও গোয়েন্দা রিপোর্টে দাবি করা হয়, শ্রীনগরের পার্শ্ববর্তী জবরবান রেঞ্জের তলহাটিতে হোটেলে আশ্রয় নেওয়া পর্যটকদের ওপর এই হামলা হতে পারে। আরেকটি রিপোর্ট ছিল, শ্রীনগরে পর্যটকদের ওপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
হামলাকারীরা বেশ কয়েকটি জায়গায় রেইকি করে বলে পরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন। সেইমতো ওই অঞ্চলে ব্যাপক সতর্কতা জারি করা হয়। তবে দীর্ঘ তল্লাশির পরও কোনোরকম সাফল্য না মেলায় ২২ এপ্রিল বন্ধ করা হয় তল্লাশি অভিযান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে ওই একইদিনে পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলা হয়।