parbattanews

প্রত্যাবাসন ভেস্তে যাওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা

উভয় দেশের ব্যাপক আয়োজনে পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দ্বিতীয়বারের মতো ভেস্তে যাওয়ায় হতাশ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্থানীয়রা। এর পেছনে এনজিও-আইএনজিও’র হাত রয়েছে বলে দাবি তাদের। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার নেতিবাচক প্রচারণাকেও দুষছেন। যদিওবা উন্নয়ন সংস্থাগুলো এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তবে আগামীতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল ও পূর্বের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদের কাছে উপস্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অনেক কুটনৈতিক প্রচেষ্টায় প্রথম বারের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য গত ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বরের ডেট লাইন ঠিক রেখে কাজ করে আসছিল বাংলাদেশ-মিয়ানমার। কিন্তু অভ্যান্তরিণ সমস্যা এবং সেচ্ছায় রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি না হওয়ায় প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা যায়নি। এরপর দীর্ঘ ১০ মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে চলতি মাসের ২২ আগস্ট ৩ হাজার ৪৫০জন রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় মিয়ানমার। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয় ২২ আগস্টের জন্য। কিন্তু এবারও কোন রোহিঙ্গা মিয়ানমার ফিরতে রাজি হয়নি। এ নিয়ে একটি হতাশ স্থানীয় জন সাধারণ।

উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, ২২ আগস্ট সব কিছু ঠিকঠাক থাকার পরও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু না হওয়ার পেছনে সংশ্লিষ্ঠদের অভিজ্ঞতার অভাবকে দায়ী করে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে পূর্বের অভিজ্ঞ-সম্পন্ন লোকজনকে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার আহবান জানান।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা যেভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছে তারা সহজে মিয়ানমারে ফিরে যাবে বলে আমার মনে হয়না। এরপরও যে সমস্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের তালিকাভুক্ত হবেন, তাদেরকে আগে থেকেই মূল ক্যাম্প থেকে ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসতে হবে। সেখানে তাদেরকে মিয়ানমারের পজেটিভ দিক গুলো তুলে ধরতে হবে। এনজিও, আইএনজিওকে তাদের থেকে দুরে রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের না হওয়ার পেছনে ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও-আইএনজিও সংস্থার বড় ধরনের ভূমিকা রয়েছে। কারণ রোহিঙ্গারা চলে গেলে তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে, তাই তারা চায়না এত তাড়াতাড়ি রোহিঙ্গা মিয়ানমারে ফিরে যাক।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি থাকার পরও রোহিঙ্গারা সেচ্ছায় মিয়ানমারে ফেরত যাওয়ার জন্য রাজি না হওয়ায় ২২ আগস্ট প্রত্যাবাসন কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া, তাই যারা স্বইচ্ছায় মিয়ানমারে ফেরত যেতে রাজি হবেন, তাদেরকেই ফেরত পাঠানো হবে।

Exit mobile version