প্রথম আলোর চরিত্র কে না জানে- প্রধানমন্ত্রী
ডেস্ক নিউজ, ঢাকা:
সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জরিপ পরিচালনাকারী একটি জাতীয় দৈনিকের (প্রথম আলো) প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই পত্রিকাটির চরিত্র কে না জানে? তাদের বক্তব্যের কী বিশ্বাসযোগ্যতা আছে? ২০০৭ এবং ২০০৮ সালে পত্রিকাটি কী ভূমিকা রেখেছে তা সবার জানা আছে।
তিনি বলেন, এই পত্রিকাটি বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। তাই তাদের সম্পর্কে সকলের সজাগ থাকা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিষয়ে ওই পত্রিকাটির জনমত জরিপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন শেখ হাসিনা বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের সমর্থন আছে ৪৮ ভাগ। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট পেয়েছিল ৫২ভাগ। কিন্ত ওই পত্রিকাটি জরিপ করে বলেছে ৯০ভাগ মানুষ নাকি তত্ত্বাবধায়ক চায়। মাত্র তিন হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে কি এই ফল দেয়া যায়। এখানে আওয়ামী লীগের মানুষের মতামত গেল কোথায়?
আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আওয়ামীলীগের সভাপতি বলেন, বিশ্বব্যাপী সংসদীয় গণতন্ত্রে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও আগামী জাতীয় নির্বাচন সেভাবে হবে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতিবাচক দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনি (খালেদা) তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছেন। একবার তত্ত্বাবধায়ক এসে উনার ছেলেদের দেশছাড়া করেছে। আবার তত্ত্বাবধায়ক এলে উনাকে যেতে হয় কিনা কে জানে?
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে তিনি বলেন, পার্লামেন্টে আসেন। বসেন। যা বলার বলুন। আমরা শুনবো। পার্লামেন্টেই আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল-নৈরাজ্য এগুলো বন্ধ করতে হবে।
‘আর কোনো মায়ের কোল খালি হতে দেবো না’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের জানমালের কোনো ক্ষতি হবে সেটা আমরা বরদাশত করবো না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় যা যা করার দরকার আমরা করবো। না।