parbattanews

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলেন রাঙ্গামাটির ২০ সাংবাদিক

প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের জন্য চিন্তা করেন বলে তিনি সাংবাদিক জন্য কল্যান ট্রাস্ট করেছেন নিজ উদ্যোগে। অথচ পূর্বে কোন সরকার প্রধান তা করেন নি। লিডারশিপ থাকলেই সাংবাদিক হবে এমন কথা নয়। বিখ্যাত সাংবাদিকরাও একটি সময় হারিয়ে যায়।

করোনকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী‘র ঘোষিত প্রণোদনার অংশ বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট এর উদ্যোগে রবিবার (৯ আগস্ট) রাঙ্গামাটির সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী এ কথা বলেন।

বিকালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনরে সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ এর সভাপত্বিতে প্রধান বক্তা ছিলেন, মহসীন কাজী, যুগ্ম মহা সচিব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তাপস রঞ্জন পাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, মো. আকবর হোসেন চৌধুরী, মেয়র, রাঙ্গামাটি পৌরসভা, ফিরোজা বেগম চিনু, সাবেক এমপি, সংরক্ষিত আসন।

বক্তব্য রাখেন, আনোয়ার আল হক, সাধারণ সম্পাদক, রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব ও সুশীল প্রসাদ চাকমা, সভাপতি, রাঙ্গামাটি রিপোটার্স ইউনিটি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মিলটন বড়ুয়া, সম্পাদক ও প্রকাশক, সাপ্তাহিক পাহাড়ের সময়, নন্দন দেবনাথ, সভাপতি, রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ফোরাম ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

চেক বিতরণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন, সাংবাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রিয়াজ হায়দার বলেন, পেশাগত দায়িত্বের দায়বদ্ধতা থেকে সাংবাদিকদের এগিয়ে যেতে হবে। এ রাষ্ট্র কোন একক দলের নয়, রাষ্ট্র সবার এবং সকল শ্রেণী পেশার মানুষের রাষ্ট্র।

রাজনৈতিক বিরোধ থাকবে কিন্তু সাংবাদিকদের বিভক্ত সুন্দর দেখাবে না। স্বাধীনতার পরও অনেক সাংবাদিক হয়রানির শিকার হয়েছে জেল খেটেছে। বর্তমানে গণমাধ্যমকর্মীরা যে স্বাধীনতা ভোগ করছে তা বর্তমান সরকার প্রধানের আন্তরিকতার সুফল।

তিনি প্রণোদনার বিষয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে সহযোগিতা করেছেন সেটিকে ভালোই বলতে হবে। তারচেয়ে বড় কথা হলো তিনি সাংবাদিকদের সম্মান জানাচ্ছেন। এবার ২০ জন সাংবাদিককে প্রণোদনার অর্থ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে বাকী সবাইকেই দেয়া হবে।

তিনি কক্সবাজারের ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যকার সুন্দর পরিবেশকে অস্থিতিশীল করার একটি পাঁয়তারা চলছে। রাষ্ট্রের স্বার্থে, উন্নয়নের সবাইকেই এক হয়ে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তাপস রঞ্জন পাল বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ সহায়তা সাংবাদিকরা যে কাজ করছে প্রণোদনা তারই স্বীকৃতির অংশ। এখন যে পরিস্থিতি চলছে দুঃশ্চিন্তার কোন কারন নেই, আমাদের সুদিন আসবেই।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, করোনাকালীন সময় রাঙ্গামাটি জেলায় কোন খাদ্য সংকট ছিল না বরং খাদ্য সহয়তায় এবং অর্থে অতিরিক্ত বরাদ্দ ছিল মানুষের জন্য।

এ বিপদে সাংবাদিকদের ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়। রাঙ্গামাটিতে প্রায় শতের মতো সাংবাদিক রয়েছে। এখন ২০ জনের মধ্যে অর্থ দেয়া হয়েছে, পরবর্তীতে বাকীদেরও প্রণোদনার আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।

Exit mobile version