প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর ইতিবাচক: মির্জা ফখরুল


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর ইতিবাচক হয়েছে।
তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বিএনপির জনপ্রিয়তা কমাতে পারলে গণতন্ত্রের বিপক্ষের শক্তির ফায়দা নিতে সুবিধা হবে। গণতন্ত্রের শত্রুকে পাশের দেশে রেখে নির্বাচনে দেরি করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সকল দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায়। তবে, বিগত সরকারের পক্ষপাতমূলক নীতির কারণে বিদেশি বড় প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেনি।
রোববার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নির্বাচন ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে হতাশা প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের জনগণ আশা করছে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। বিএনপির জনপ্রিয়তা নষ্ট করতে পারলে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সুবিধা হয় বলেও তিনি দাবি করেন। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতা থেকে সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ তৈরি করছে না।
তিনি বলেন, জনগণ সরকারের কাছ থেকে নিরপেক্ষতা আশা করছে। যদি সরকার নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না। নির্বাচন নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র চলছে, কিন্তু সংস্কার সংস্কার করে নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমেরিকায় পরিবারতন্ত্র হলে কোনো সমস্যা হয় না, কিন্তু বাংলাদেশে হলেই সমস্যা হিসেবে দেখা হয়। তিনি দাবি করেন, কিছু মহল বাংলাদেশকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে চায়।
তিনি অভিযোগ করেন, বিদেশে বসবাসরত কিছু ব্যক্তি ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। এসময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
এ সময় তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন। আর নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণ হলেই তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টি জানা যাবে।