parbattanews

প্রবাসীকে উলঙ্গ করে তল্লাশি, বিজিবির তিন সদস্য প্রত্যাহার

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ার শামলাপুর শীলখালী চেকপোস্টের গোপন কক্ষে নিয়ে আবদুল্লাহ (৩৫) নামক প্রবাসীকে উলঙ্গ করে তল্লাশি করা হয়েছে। এসময় তার কাছে ইয়াবা না পাওয়ায় নির্যাতন করেন বিজিবির সদস্যরা।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর শীলখালী বিজিবি চেকপোস্টে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ টেকনাফ উপজেলার হাইউক খালী পাড়ার মৃত শফিউজ্জামানের ছেলে।

এ ঘটনায় বিজিবির তিন সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার মাহফুজুর রহমান।

ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ বলেন, কিছু দিন আগে মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসি। আমার সংসারে দুজন স্ত্রী রয়েছে। প্রথম স্ত্রী টেকনাফে এবং দ্বিতীয় স্ত্রী কুমিল্লায় থাকে। কুমিল্লা থেকে টেকনাফে এসেছিলাম মায়ের কবর জিয়ারত করতে। কবর জিয়ারত শেষে প্রথম স্ত্রীর থেকে বিদায় নিয়ে সন্ধ্যায় টেকনাফ থেকে নীলদরিয়া নামে বাস করে কক্সবাজার ফেরার পথে শীলখালী বিজিবি চেকপোস্টে পৌঁছালে, বিজিবির একজন সদস্য আমার দেহ তল্লাশি করে। কিছু না পেয়ে একটি গোপন কক্ষে নিয়ে উলঙ্গ করে তল্লাশি করে।

এ সময় বিজিবির সদস্যরা কিছু না পেয়ে, ‘তুর কাছে ইয়াবা আছে’ বলে আমাকে থাপ্পর মারে। ‘স্যার আমার কাছে কিছু নেই’ বললেও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। কিছুক্ষণ মারধরের পর একটি খালি জায়গায় নিয়ে ‘ইয়াবা আছে’ বলে বল প্রয়োগ করে মলত্যাগ করান। এতেও ইয়াবা না পেয়ে বিজিবির দুই সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে শালার ‘ব্যাটা তোর কাছে ইয়াবা আছে’ বলে আবারো মারধর করেন। পরে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই। কিছুক্ষণ পর মুমূর্ষু অবস্থায় আমাকে একটা গাড়িতে তুলে দেন। ওই গাড়িটা আমাকে কক্সবাজার টার্মিনালে ফেলে দিয়ে চলে যায়।

মুমূর্ষু অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে শামসুল আলম শ্রাবণ নামক পথচারী আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে পাঠায়।

Exit mobile version