কুতুবদিয়াতে বাড়ছে করোনা ঝুঁকি, প্রবেশ করছে বাহিরের লোকজন


প্রশাসনিকভাবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কুতুবদিয়া দ্বীপ লকডাউনে থাকলেও ঝুঁকি বেড়েই যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার ভিডিপি ছাড়াও ওয়ার্ড ভিত্তিক জনপ্রতিনিধি নিয়ে গঠিত করোনা প্রতিরোধ কমিটি সক্রিয়।
এর পরেও লকডাউন ভেঙ্গে দ্বীপের বাহির থেকে বিশেষকরে ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা নারায়নগন্জ, ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে রাতের বেলায় মানুষ আসছে। এমন খবরে দ্বীপের প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
করোনা প্রতিরোধ মেডিকেল টীম লিডার ডা. মো. জায়নুল আবেদীন বলেন, পার্শ্ববর্তী দ্বীপ মহেশখালীতে করোনাভাইরাস আগমন ঘটেছে। কুতুবদিয়ায় বাহির থেকে প্রত্যাগত এসেছে গোপনে। তারা আত্মগোপনে থাকতে পারে। এরা করোনার বাহক হতে পারে।
হোম কোয়ারেন্টাইন ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ২৯ জনের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ২৯ জনই নেগেটিভ রেজাল্ট। কাল মঙ্গলবার আরো ১০ জনের ব্লাড স্যাম্পল পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।
এরা অধিকাংশই নারায়নগঞ্জসহ ঝুঁকিপুর্ণ এলাকা থেকে এসেছে। তাদের ধারণা উপজেলায় আত্মগোপনে অনেকেই থাকতে পারে। তারা গোপনে স্বেচ্ছায় দ্বীপের স্বার্থে এসে পরীক্ষা করিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থাকলে রক্ষা পাবে দ্বীপের মানুষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, লবণ লোড, আনলোড বন্ধ না হলে ঝুঁকি বাড়বেই। নিয়মিত প্রশাসনিক পাহারা থাকলেও রাতের আঁধারে মগনামা থেকে উচ্চ মুল্যে বোট দিয়ে কুতুবদিয়ায় আগমন করছে মানুষ। এ ধরনের খবরে তারা সংশয় প্রকাশ করেন।
এছাড়াও প্রশাসনিক নজরদারি আরো বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি। সংশ্লিস্ট ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিসহ সচেতনা জোরদার না হলে ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে দ্বীপবাসির।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার মো. জিয়াউল হক মীর বলেন, পার্শ্ববর্তী দ্বীপে করোনা শনাক্ত হয়েছে। যারা নারায়নগঞ্জ থেকে এসেছে। এ ধরনের অনেকেই এসেছে, কেউ কেউ লুকিয়ে থাকতে পারে।
প্রশাসনিক সকল টহল অব্যাহত আছে। ওয়ার্ড কমিটি সজাগ হয়ে লুকিয়ে থাকা ব্যক্তিদের খোঁজ দিলে পরীক্ষার সুযোগ থাকবে। দ্বীপবাসি সর্বাত্বক সহযোগিতা না করলে করোনার ঝুঁকিতে পড়বে দ্বীপের মানুষ। তখন হয়ত প্রশাসনের কিছুই করার থাকবে না।