প্রশাসনের কঠোরতায়ও খাগড়াছড়িতে লকডাউন ভেঙ্গে পড়েছে
প্রশাসনের কঠোরতায়ও খাগড়াছড়িতে লকডাউন ভেঙ্গে পড়েছে। অর্থদন্ডসহ প্রশাসনের কঠোরতায়ও লকডউন কার্যকর করা যাচ্ছে যাচ্ছে না।
ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক পরা নিয়ে উদাসিন। হাট-বাজারগুলো হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম আগের মতই চলছে। আগের মতই রাতেও দোকানপাট খোলা থাকছে। দূরপাল্লা গণপরিবহন না চললেও সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক ও সিএনজি। সংক্রমণ বেড়ে গেলেও সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে সাপ্তাহিক হাটবারকে ঘিরে বসতে দেখা গেছে হকারদের। এভাবে চলতে থাকলে ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা করছেন অনেকে।
খাগড়াছড়িতে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে লকডাউন চললেও হাট-বাজারগুলো আগের মতই হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম। সড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ইজিবাইক ও সিএনজি। শহরে তীব্র যানজট। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তর থেকে সচেতনতামূলক প্রচার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড দেওয়া হলেও মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছে।
খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ জানান, মার্চ মাস থেকে এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাসের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। খাগড়াছড়িতে এখন পর্যন্ত করোভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৮শ ৬১ জন আর মারা গেছেন ৭ জন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতন করতে প্রশাসন দিন-রাত মাঠে রয়েছে। মানুষের মাঝে মাস্ক বিতরণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গত পাঁচ দিনে খাগড়াছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫শ ৪৫ জনকে এক লাখ ৫ হাজার ৩২০ টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও খাগড়াছড়ির হাট-বাজারে লোক সমাগম বন্ধের দাবি সচেতন মহলের।