প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী


২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে বলতে হয়, এই বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সোমবার বিকেলে বনানীর হোটেল সারিনায় তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট আগের সরকারের ধারাবাহিকতা এবং এর মৌলিক বিষয়গুলোতে গলদ রয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে কোনো কিছু পরিবর্তন দেখিনি। শুধু সংখ্যার সামান্য….কিন্তু ওই প্রিন্সিপাল তো একই রয়ে গেছে, কাঠামো একই রয়ে গেছে, সুতরাং এটা আগামী দিনের সরকারের জন্য খুব একটা সহজ কিছু হবে না।’
বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর তাঁর প্রত্যাশা সীমিত উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সীমাবদ্ধতা আছে, সময়ের ব্যাপার আছে। একটা নির্বাচিত সরকারের বাজেটের প্রতি যে অ্যাপ্রোচ…মেয়াদ, এই ব্যবধানগুলো আমাদের বুঝতে হবে।…বিগত সরকার বাজেটের আকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে বাংলাদেশের রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।’
রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারের সম্পৃক্ততা থাকা উচিত হলেও সেটি হয়নি উল্লেখ করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রাজস্ব আয় যেটা আছে, তার পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ের মধ্যে চলে যাবে। দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে ঋণ নিতে গেলে এসব প্রভাবের কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।