প্রাইভেট কারে পিকআপের ধাক্কা, ভাগ্যগুণে বেঁচে গেলেন ডা. নিখিল


ফিটনেসবিহীন একটি পিকআপের ধাক্কায় নিজের প্রাইভেট কার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভাগ্যগুণে প্রাণে বাঁচলেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গ্যাস্ট্রো এন্টারোলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ও রামগড়স্থ মানবিক সংগঠন পুতুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডা. নিখিল চন্দ্র নাথ।
শনিবার (১৯ জুন) সকালে রামগড়-করেরহাট সড়কের ভাঙ্গা টাওয়ার নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডা. নিখিল জানান, ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারযোগে রামগড় থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে করেরহাট সড়কে জোরারগঞ্জ থানাধীন ভাঙ্গা টাওয়ার নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে দ্রুত গতিতে এসে মাছবাহী একটি পিকআপ (চট্ট মেট্টো-ন ১১-২৯৯০) তার কারকে সজোরে আঘাত করে। এতে কারটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তিনি জানান, ‘পিকআপটি বেপরোয়া গতিতে আসতে দেখে আমরা রাস্তার এক পাশে সাইড নিয়ে দাঁড়িয়ে যাই। এ অবস্থায় ঐ গাড়িটি রং সাইডে এসে আমার প্রাইভেট কারকে মুখোমুখি সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে আমার গাড়িটির একাংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘কারের ফ্রন্ট সীটে বসা থাকলে আমি হয়তো মারা যেতাম।’ ডা. নিখিল আরও জানান, পিকআপটির কোন ফিটনেস নেই, চালকেরও কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। দুর্ঘটনার পর চালক দাবি করে তার গাড়িটির ব্রেক ফেল করায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে ডা. নিখিলের ধারণা, চালকের অদক্ষতার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর ৯৯৯ নম্বরে কল করে খবর জানানোর পর জোরারগঞ্জ থানার এসআই সাঈদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সার্বিক সহায়তা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, দুর্ঘটনার পরপরই পিক আপের মালিক, সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ৩০-৩৫ জন পরিবহন শ্রমিক ঘটনাস্থলে এসে পিকআপ চালকের দোষ ঢাকতে চেস্টা চালায়।