প্রাণহীন সমুদ্র শহর

fec-image

দীর্ঘদিন পরে গত ১৯ আগস্ট কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ পর্যটন স্পটসমূহ খুলে দিয়েছে সরকার। আবাসিক হোটেলগুলোও শর্ত মেনে ব্যবসা করার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু জমেনি সমুদ্র নগরের বিনোদন কেন্দ্রসমূহ। শহরের ঝাউতলায় অবস্থিত দেশের প্রথম সামুদ্রিক প্রাণীসমৃদ্ধ সী-এ্যাকুরিয়াম ‘রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড’ এখনো বন্ধ। অপূরণীয় ক্ষতির ঘানি টানতে হিমশিম খাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, সমুদ্রসৈকত, হিমছড়ি, ইনানী, বঙ্গবন্ধু সাফারিপার্কসহ বিনোদন স্পটগুলোতে লোকসমাগম তেমন নেই। প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন অনেকটা নির্জীব।

শহরের প্রধান সড়কসহ প্রায় সব উপসড়ক খুঁড়ে ক্ষতবিক্ষত করে রাখা হয়েছে। কাজের ধীর গতির শিকার স্থানীয়রা। পথ চলতে কষ্ট হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। করোনার থাবা এখনো রয়ে গেছে। মৃত্যুর হার কমলেও পজিটিভ শনাক্ত হচ্ছে এখনো। করোনা ও সড়কের নাজুক দশা, এই দু’য়ের প্রভাব পড়ছে পর্যটনখাতে।

কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান বলেন, গত ১৯ আগস্ট থেকে হোটেল খুলেছি। কিন্তু পর্যটকদের চাপ তেমন নেই। এর মূল কারণ, এখন কক্সবাজার অফ সিজন। তার উপর করোনার প্রভাব ও দীর্ঘ দিনের লকডাউন

তিনি বলেন, ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে তেমন টাকা নেই। বর্তমানে স্টার মানের হোটেলে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ এবং মিডিয়াম মানের হোটেলে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ গেস্ট আছে। করোনা আক্রান্তের হার কমলে এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়বে মনে করেন মুকিম খান।

ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) সভাপতি তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিনোদন কেন্দ্রসমূহ খুলে দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছি। ট্যুর ডেস্কগুলোতে বিনামূল্যে মাস্ক রাখা হয়েছে। শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ব্যবসা করতে আমরা প্রস্তুত।

তিনি বলেন, পহেলা নভেম্বর থেকে মূলতঃ পর্যটন ব্যবসা হয়। ইতোমধ্যে জেলার প্রায় বিনোদনকেন্দ্র খুলেছে। যদিওবা বাইরের পর্যটকের দেখা তেমন নেই। যারা আসছে তারা সবাই স্থানীয়। পর্যটকদের সেবায় আমরা নিয়োজিত।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিঅনের সুপার মো. জিল্লুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যাতে কেউ সৈকতে না নামে, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক। কলাতলী, সুগন্ধা, লাবণীসহ ৬ পয়েন্টে পৃথক টিম নিয়োজিত আছে। তিনটি মোবাইল টিমও সৈকতে সারাক্ষণ রয়েছে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন