parbattanews

প্রেমিকাকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

রনি আক্তার নামের এক প্রেমিকাকে ভালবাসার টানে কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে বিয়ের প্রলোভনে তার প্রেমিক আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে সাতকানিয়া মৌলভী পাড়ায় ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভীপাড়ায় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

নিহত প্রেমিকা রনি আক্তার পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের ধলিয়াঘাটা ভেলুয়ারপাড়া এলাকার জাকের হোসেনের মেয়ে ও পেকুয়া শহীদ জিয়া বিএমআই কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থী।

সূত্রে জানা যায়, সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের বারদোনা মৌলভীপাড়ার সাব্বির আহমদের ছেলে আমিনুলের সঙ্গে দীর্ঘ দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল তার।

এদিকে নিহত রনি আক্তারের পিতার দাবি আমার মেয়েকে পেকুয়া থেকে বিয়ে প্রলোভনে তার প্রেমিক আমিনুল ইসলাম মুঠোফোনে সাতকানিয়া মৌলভী পাড়ায় ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তিনি আরো জানান, রাতে মাকে ফোন করে তাকে বেধে রাখা হয়েছে নির্যাতন করছে বলে জানান রনি আক্তার। তার মা সকালে যাবে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ঠিক সকালে গিয়ে আনতে হলো রনি আক্তারের নিথর দেহ। তিনি আরো বলেন, ঘটে যাওয়া ঘটনার ৪৮ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও মামলা নেয়নি সাতকানিয়া থানা পুলিশ।

এদিকে ছেলের বাবা সাব্বিরের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ প্রসঙ্গে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত বলেন, প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে এসে ক্ষোভের বসে বিষপান করে। তাকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিত হত্যা এখন বলা যাচ্ছে না, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বলা যাবে। ওই রিপোর্টের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ সোমবার রাতে সাতকানিয়ার সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভী পাড়ায় যায় রনি আক্তার নামে পেকুয়ার ওই তরুণী। সেখান থেকে হঠাৎ তাকে অসুস্থ অবস্থায় লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় প্রেমিকের ভগ্নিপতি এনাম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তরুণী।

জানা গেছে, সোমবার সকালে ওই তরুণীকে নিয়ে কক্সবাজারে যান প্রেমিক আমিনুর। সেখানে একটি হোটেলে উঠেন। বিকেলে সেখান থেকে ফেরার পথে চকরিয়ার কাজের কথা বলে নেমে যান। এরপর ওই তরুণীর মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেন। ঘরে পৌঁছার পরও প্রেমিককে ফোনে না পেয়ে রাতেই প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেন। সেখানে আমিনুলের বোন ও ভগ্নিপতি তাকে গালিগালাজ-মারধরের পর বের করে দেন। পরে ওই তরুণীকে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে প্রেমিকের ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার অনুরোধ জানালে তিনি অভিভাবক নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। পরে ভোরে অসুস্থ অবস্থায় ওই তরুণীকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

Exit mobile version