parbattanews

প্রেমের টানে মহেশখালীতে থাই তরুণী, বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে

এবার প্রেমের টানে মহেশখালীতে ছুটে এলেন থাই তরুণী। বসলেন বিয়ের পিঁড়িতেও। গত ১২ ডিসেম্বার কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর তরুণ ওসমান গণির (২২) সঙ্গে বিয়ে হয় থাই তরুণী তানিদার (৩৭)।

ওসমান গণি মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজপাড়া বাংলাবাজার এলাকার ব্যবসায়ী জাবের আহমদের ছেলে। গত ১২ ডিসেম্বর তার নিজ বাড়িতেই বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ের পর ওসমান গণির বাড়িতেই আছেন তানিদা (৩৭)। প্রতিদিনই তাকে দেখতে গ্রামের মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।

ওসমানের বাবা জাবের আহমদ বলেন, ‘পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে ওসমান গণি চতুর্থ। সপ্তম শ্রেণিতে ওঠার পর অভাবের কারণে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায় তার। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম শহরে একটি মুরগির ফার্মে চাকরি নেয় ওসমান। পরে ওই চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজ গ্রামে চলে আসে। এরপর চাকরি নেয় মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে। ওই চাকরি চলে গেলে ৯ মাস ধরে সে এখন বেকার।’

থাই তরুণীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসমান গণি বলেন, ‘গত বছরের জানুয়ারিতে মহেশখালীতে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন তানিদা। ১৪ দিন থাকার পর আবার নিজ দেশে ফিরে যান। পরে আমার বাবার অসুস্থতার খবর শুনে গত বছরের এপ্রিলে আবারও বাংলাদেশে আসেন। সে যাত্রায় সাত দিন থাকেন। সর্বশেষ ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন তানিদা। এরপর ১২ ডিসেম্বর আইনি প্রক্রিয়ায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তানিদা। তার নাম রাখা হয় খাদিজাতুল কোবরা। ওই দিনই বিয়ে হয় আমাদের।’

তানিদা থাইল্যান্ডে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন ওসমান গণি। তিনি জানান, তার স্ত্রী এক মাসের ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। এক মাস পর আবার থাইল্যান্ডে চলে যাবেন। মাঝেমধ্যে ছুটি নিয়ে বাংলাদেশে আসবেন। তানিদা দেশে ফিরে ওসমানের জন্য ভিসার আবেদন করবেন।

ওসমান জানান, ভিসা পেলে তিনিও থাইল্যান্ডে যাবেন। সেখানে চাকরি পেলে থেকে যাবেন। ১০ বছর পর স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে চলে আসবেন।

জানতে চাইলে ওসমানের বাবা জাবের আহমদ বলেন, ‘বউমা আমাদের ভাষা বোঝেন না। ইশারা–ইঙ্গিতে যোগাযোগ চালিয়ে নিচ্ছি। এখন প্রতিনিয়ত সে বাংলা ভাষা শেখার চেষ্টা করছে।’

মাতারবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আবু হায়দার বলেন, ‘থাই তরুণী মহেশথালীতে এসে ওসমানকে বিয়ে করেছেন। তাকে দেখতে এলাকার মানুষ ভিড় করছে।’

Exit mobile version