প্লাস্টিকের খালি বোতল বেঁধে নদী দিয়ে ভাসিয়ে দিল বিএসএফ!


খাগড়াছড়ির রামগড় সীমান্ত এলাকা থেকে পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি; যাদেরকে ফেনী নদী দিয়ে বিএসএফ ভাসিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে রামগড় বিজিবি-৪৩ ব্যাটালিয়নের মহামুনি বিওপির সদস্যরা অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাদের আটক করে নিয়ে যান।
এর আগে বুধবার মধ্যরাতে রামগড়-সাব্রুম সীমান্তের ফেনীরকুল কাজীরচর এলাকার সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী-বিএসএফ তাদের ‘পুশইন’ করে বলে জানান রামগড় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইসমত জাহান তুহিন।
আটকরা হলেন- উমেদ আলী (৪২), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৩৫) এবং তাদের ৮, ১২ ও ১৫ বছরের বছরের তিনি মেয়ে।
ফেরত আসা উমেদ আলী সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, ভারতের হরিয়ানা রাজ্যে ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তারা। তারপর তাদের ধরে এনে ‘হাত-পা বেঁধে’ সীমান্তের কাছে আনা হয়।
তাদের কাছ থাকা টাকা-পয়সা ও মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, “বুধবার রাত ১২টার দিকে মারধর করে জোরপূর্বক নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। নদীতে ফেলার আগে তাদের কোমরে প্লাস্টিকের খালি বোতল বেঁধে দেওয়া হয়। এতে তারা পানিতে ভাসতে ভাসতে সীমান্তে চলে আসেন।”
ভোর ৫টার দিকে তারা বাংলাদেশে নদীর কিনারে ভেড়েন। পরে নদী তীরবর্তী গ্রামবাসীদের সহায়তায় তারা সোনাইপুল এলাকায় পৌঁছান। সেখান থেকে তাদের আটক করে নিয়ে যায় বিজিবি।
ইউএনও ইসমত জাহান তুহিন বলেন, মানবিক কারণে তাদের রামগড় হাই স্কুলে বিজিবি ও পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। শনাক্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এর আগে ৬ মে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৮১ জনকে বাংলাদেশে ‘পুশইন’ করে বিএসএফ।