ফলদ বৃক্ষ কেটে ফেলার জন্য দায়ী পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বিচার চাই- সম অধিকার আন্দোলন
বিজ্ঞপ্তি: পাহাড়ের বৃহত্তম অরাজনৈতিক সংগঠন সমঅধিকার আন্দোলনের সভাপতি মশিউল আলম হুমায়ুন, মহাসচিব মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার উল্লাহ, রামগড়ের আয়ুব আলী মেম্বার এবং বান্দরবান জেলার আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী আজ ঢাকার সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক যুক্ত বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন, গত ২০ এপ্রিল মধ্যরাতে খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারা থানার রাজভিলায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা আম-কাঠাল ও লিচু বাগানের কোটি টাকার ফলজ বৃক্ষ কেটে ফেলেছে এবং স্থানীয় বাঙালিদের প্রাণে বাঁচতে হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছেড়ে সমতলে চলে যাবার জন্য আলটিমেটাম দিয়েছে। তিন পার্বত্য জেলায় চাঁদাবাজী ও বাঙালিদের ভূমি দখলের লক্ষ্যে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা আম-জাম-লিচু-আনারস-কাঠাল-সেগুন-তরমুজ-রাবার বাগান ধংসসহ শত শত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে বাঙালিদেরকে সুপরিকল্পিতভাবে পাহাড় ছাড়া করার নীলনক্সা বাস্তবায়ন করছে। অথচ, স্থানীয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী সন্ত্রাসীদের আটক না করে উপজাতীয় নেতাদের পক্ষাবলম্বন করছে বলেও বাঙালীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন অবিলম্বে পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে পার্বত্যবাসী জনগনকে রক্ষার জন্য রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্পর্শকাতর স্পটগুলোতে র্যাব নিয়োগের জোর দাবী জানিয়েছে। নতুবা ক্ষতিগ্রস্ত বাঙালিদেরকে নিয়ে প্যারা মিলিশিয়া ও হিল আনসার বাহিনী গঠনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করা হবে বলে সমঅধিকার নেতারা কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন- ‘পাহাড়ে বসবাসরত বাঙালিসহ ১৩টি ক্ষুদ্র ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠির অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, স্বাস্থ্য, সুখ ও সমৃদ্ধির জন্য জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা উপজাতিদেরকে আদিবাসী ও জুম্মজাতির পরিচয় দিয়ে পাহাড়কে জুম্মল্যান্ড বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। জেএসএস ও ইউপিডিএফ সন্ত্রাসীদের কব্জা থেকে সমস্ত বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার ও পাহাড়ে চাঁদাবাজী বন্ধ না করা পর্যন্ত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন হবে না।
এদিকে পৃথক এক বিবিৃতিতে সমঅধিকার নেতৃবৃন্দ বলেন,
‘কতিপয় উপজাতীয় আমলার চক্রান্তের মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে ৩৭০০ উপজাতীয় নেতাকে বিতর্কিত খাসজমি ও বিরোধপূর্ন ভূমি বন্দোবস্তি দেয়ার পায়তারা চলছে। যেখানে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আছে, চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলামের কাছে ৫০০০ ভূমি বিরোধ মামলা ঝুলে আছে, যেখানে আজও ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভে হয় নাই। সেক্ষেত্রে খাগড়াছাড়িতে ৩৭০০ প্রভাবশালী উপজাতীয় নেতার নামে ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হলে ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালিরা হরতাল-অবরোধসহ কঠিন কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে। তারা খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবং পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সহ দোষী আমলাদের অপসারনেরও জোর দাবী জানান। নেতৃবৃন্দ বলেন- সমঅধিকার আন্দোলনের প্রতিনিধি সহ সবাইকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ সমস্যা মিটাতে হবে। বিবৃতিতে বান্দবান জেলার সমঅধিকারের নেতা শুয়ালক ইউপি মেম্বার রফিকুল আলমের উপর কতিপয় সমাজবিরোধী ও ডাকাতদের গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং সন্ত্রাসীদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের জন্য জোর দাবী জানানো হয়।


















