ফুটবল খেলার বিরোধে বান্দরবানের সোনাইছড়িতে পিটিয়ে যুবক হত‌্যা: ঘাতক আটক

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ‌্যংছড়িতে ফুটবল খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে এক যুবককে পিটিয়ে হত‌্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৯জুন) সন্ধ‌্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লামারপাড়া গ্রামে।

নিহত যুবকের নাম মংহ্লা ওয়ান মারমা (২৬)। তিনি ওই গ্রামের চাইফঅং মারমার ছেলে।

জানা গেছে, সোনাইছড়ির লামারপাড়া গ্রামে ছোটদের একটি ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করে স্থানীয় যুবকরা।

শুক্রবার বিকেলে খেলা চলাকালীন অবস্থায় স্থানীয় যুবক মংহ্লা ওয়াই মারমা (২৬) মাতাল অবস্থায় ছোটদের ওই খেলায় অংশ নিতে চাইলে একই গ্রামের যুবক চ:ছামং মারমা তাকে খেলায় নিতে অপারগতা প্রকাশ করে।

এসময় তাদের মধ‌্যে তর্কাতর্কি হলেও খেলা শেষে সবাই নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান। কিন্তু মংহ্লা ওয়ান বিকেলে আবারো হাতে একটি লাঠি নিয়ে চ:ছামং মারমার বাড়িতে গিয়ে পুনরায় বিবাদে জড়িয়ে পড়েন।

এসময় একে অপরের মধ‌্যে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে মংহ্লা ওয়ান মারমার হাতে থাকা লাঠি ছিনিয়ে নেয় চ:ছামং এবং ওই লাঠি নিয়ে মংহ্লার মাথায় আঘাত করলে রক্তাক্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই লুটে পড়েন।

ঘটনার পর ঘাতক চ:ছামং নিজেই রক্তাক্ত মংহ্লাকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ বাজারে নিয়ে গেলে স্থানীয় চিকিৎকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পরে সিএনজি যোগে নিহত মংহ্লাকে পুনরায় নিজ গ্রাম সোনাইছড়িতে নেওয়া হয়। কিন্তু উত্তেজিত জনরোষ থেকে বাচতে ঘাতক চ:ছামং গ্রামে গা ঢাকা দেন।

খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও সোনাইছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘাতক চ:ছামংকে আটক করেছে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শনিবার সকালে লাশ বান্দরবান মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং আটক চ:ছামং এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজুর পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এই বিষয়ে সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যানিং মারমা জানান- ফুটবল খেলার বিরোধে সামান্য তর্কাতর্কির ঘটনার জের ধরে অনাঙ্কিত এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তাদের মধ্যে পূর্বের কোন বিরোধও ছিলনা বলে উভয় পরিবার স্বীকার করেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নাইক্ষ‌্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, ’ময়না তদন্তের জন‌্য লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ঘটনায় জড়িত যুবককে আটক করা হয়েছে’।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান, মারমা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন