ফেনীতে সাংবাদিকের ওপর ‘হামলা’: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা


ফেনীতে সাংবাদিকের ওপর ‘হামলা’: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
হামলাকারীরা শুধু বেধড়ক পিটিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, দুটি স্মার্টফোনও ছিনিয়ে নিয়েছে, বলেন বাদী।
ফেনীতে ‘সংবাদ প্রকাশের জেরে’ সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে ১০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন দৈনিক ইনকিলাবের জেলা সংবাদদাতা মো. ওমর ফারুক।ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।”
বুধবার দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের দিকে যাওয়ার পথে কালিদহ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের সিলোনীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় সাংবাদিক মো. ওমর ফারুকের (৪০) ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
চারটি মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতকারীরা তার ওপর হামলা চালায় বলে দাবি ওমর ফারুকের।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওমর ফারুকের অভিযোগ, হামলাকারীরা তাকে শুধু বেধড়ক পিটিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, দুটি স্মার্টফোনও ছিনিয়ে নিয়েছে।
এদিকে, ওমর ফারুকের ওপর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধন করেছেন ফেনীর সাংবাদিকরা।
ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির আয়োজনে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন।
সাংবাদিক আলী হায়দার মানিকের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের, এ কে এম আব্দুর রহিম, রবিউল হক রবি, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি শুকদেব নাথ তপন, সাংবাদিক সাঈদ খান, আজাদ মালদার, জসিম মাহমুদ, বাংলাদেশ ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম ফেনী জেলা শাখার সভাপতি শাহজালাল ভূঁইয়া, আতিয়ার সজল, জহিরুল হক মিলন, দিদারুল আলম, নুর উল্লা কায়সার, শেখ কামাল, ইয়াসিন আরাফাত রুবেল।
সমাবেশে বক্তারা সাংবাদিক ওমর ফারুকের ওপর হামলাকারীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।