ফেনী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ২ কিশোর নিখোঁজ
খাগড়াছড়ির রামগড়ে ভারত সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে দুই কিশোর। এদের একজন হচ্ছে রামগড় পৌরসভার শ্বশানটিলার মো: শফিকের ছেলে নয়ন(১৩) ও পাতাছড়ার আব্দুর জব্বারের ছেলে বাদশা (১৫)।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকালে ফেনী নদীতে জাল নিয়ে মাছ ধরতে পানিতে নামলে স্রোতে তলিয়ে যায় বাদশা। এর আগে বুধবার এক সঙ্গীকে নিয়ে ফেনী নদীর মন্দিরঘাট এলাকায় মাছ ধরতে যায় নয়ন। সঙ্গী বাড়ি ফিরে এলেও নয়ন না ফেরায় তার স্বজনরা রাত অব্দি বহু খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রামগড় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ফেনী নদীর বিভিন্ন অংশে ব্যাপক খোঁজাখুজি করে। দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিটের একটি উদ্ধারকারীদল রামগড়ে এসে নিখোঁজ দুই কিশোরের সন্ধানে ফেনী নদীর মন্দিরঘাট থেকে বাগানবাজার পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চালায় তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুজনের কারও সন্ধান পায়নি তারা।
ডুবুরি ইউনিটের সাব-অফিসার মো. জসিম উদ্দিন জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফেনী নদীর কয়েক কিলোমিটার অংশে ডুবুরিদল অভিযান চালায়। কিন্তু নদীর প্রবলস্রোতের কারণে এ অভিযান যথাযথভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি। তবুও তারা প্রাণপণে চেষ্টা করেছে। সন্ধ্যা হওয়ায় অভিযান স্থগিত করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় অভিযান চালানো হবে।
জানা যায়, বন্যার পানি কমে যাওয়ার পর গত ২-৩ দিন ধরে ফেনীনদীতে মাছ ধরার হিরিক পড়ে যায়। শত- শত মানুষ বড়শি, জাল ইত্যাদি নিয়ে মাছ ধরতে নামে নদীতে।
স্থানীয়রা জানায়, বন্যায় বিভিন্ন পুকুর, জলাশয় ডুবে যাওয়ায় বিভিন্ন মাছ বানের পানির স্রোতে নদীতে নেমে আসে। বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় প্রচুর মাছ ধরা পড়ে লোকজনদের জালে। ফলে দিন-রাত মাছ ধরার মহোৎসবে মেতে উঠে শত-শত মানুষ। প্রচুর মাছ পাওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দূরদূরান্তের বিভিন্ন এলাকা থেকেও ফেনীনদীতে মাছ ধরতে আসে লোকজন।