ফের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্ত পিলার ৪৮ নম্বর চেলিরটাল ও ৫১ নম্বর পিলার সংলগ্ন পাইনছড়ি সীমান্তের ওপারে থেকে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

বুধবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় চেলিরটালের বিপরীতে ৮ রাউন্ড, ৬টায় একই এলাকায় ২ রাউন্ড ভারী অস্ত্র বিস্ফোেণের শব্দ ভেসে আসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

এর আগে দিন পাইনছড়ির বিপরীতে ২০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। দীর্ঘ ২ মাস পর সীমান্তের এই ২ পয়েন্টে নতুন করে গোলাগুলির আওয়াজে স্থানীয়দের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, ছুরত আলম ও জসিম উদ্দিন পার্বত্যনিউজকে জানান, ঈদের ছুটিতে তারা বাড়ি এসেছেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টায় গোলাগুলির শব্দ শুনে তারা কিছুটা ভয় পেলেও পরে এলাকার লোকজনের অভয়বানীতে তাদের ভয় কেটে যায়।

দ্বিতীয় ঘটনার বিষয়ে ফুলতলী সীমান্ত সড়কের পথচারী ছুরত আলম ও জসিম উদ্দিন বলেন, তারা সীমান্ত সড়কে বেড়াতে যান। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ৫ মিনিটে ৮ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনে তারা। এ কারণে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ফিরে আসেন।

অপর বাসিন্দা ছৈয়দ নূর ও ফরিদুল আলম জানান, এ সীমান্তে দীর্ঘদিন ধরে চোরাকারবার হতো। গেল ঈদুল আজহার ১ সপ্তাহ পূর্ব থেকে এ পয়েন্টে চোরাকারবার বন্ধ হয়ে যায়। ওপারে রাখাইনে বিদ্রোহী গ্রুপ আরকান আর্মির সাথে আরএসও সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে মতদ্বৈততার কারণে বর্তমানে উভয় পক্ষ মুখোমুখী অবস্থানে। এর কারণে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।

সূত্র জানায়, সীমান্তে জান্তা বিরোধী সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান আর্মি আর আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অব অর্গনাইজেশন) এর কমান্ডোরা পরস্পরকে চোরাগোপ্তা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যার কারণে মঙ্গলবার থেকে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে চলছে।

স্থানীয়রা আরো জানান, বাংলাদেশ-মিয়ানমানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত জুড়ে বিজিবি সতর্কাবস্থানে রয়েছে। তারা নিয়মিত টহলও দিচ্ছে।

সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জানতে ১১-বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। ফলে বিজিবির বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: নাইক্ষ্যংছড়ি, বিস্ফোরণ, মিয়ানমার
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন