parbattanews

ফেসবুকে স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক বিক্রির হুমকি নির্মলেন্দু গুণের

বাড়িতে গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কবি নির্মলেন্দু গুণ। স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদক বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে বাড়িতে গ্যাস সংযোগের জন্য সরকারকে এক মাসের সময়ও বেঁধে দিয়েছেন এই কবি।

মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ফেসবুকে পোস্টে নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হোক। রেল এবং বিমানের টিকিটও তাদের জন্য সংরক্ষিত থাকলে ভালো হয়। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার প্রাপকদের এ রকম সামান্য বাড়তি সুবিধা তো দেওয়া যেতেই পারে।’

ফেসবুক পোস্টে নির্মলেন্দু গুণ লিখেছেন, ২০১৬ সালে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি তিনতলা বাড়ি বানান তিনি। বাড়িটিতে বিদ্যুৎ–সংযোগ পেলেও গ্যাসের সংযোগ না পাওয়ায় তাঁকে বাজার থেকে তরল গ্যাস কিনে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে জানিয়ে তিনি ওই পোস্টে লেখেন, ‘খোলাবাজার থেকে চড়া মূল্যে আমাকে তরল গ্যাস কিনতে হয়। এই ক্ষতি পোষাতে আমি পুরস্কারের সঙ্গে পাওয়া আমার স্বর্ণপদক দুটি বেচে দেওয়ার কথা ভাবছি।’

নির্মলেন্দু গুণের দাবি, স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত দেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হোক। এমনকি রেল ও বিমানের টিকিটও তাঁদের জন্য সংরক্ষিত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। নির্মলেন্দু গুণ মনে করেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়া ব্যক্তিদের এ রকম সামান্য বাড়তি সুবিধা দেওয়া যেতেই পারে।

পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মলেন্দু গুণ গণমাধ্যমকে বলেন, অর্থকষ্টে নয়, গ্যাস–সংযোগ না দেওয়ার ক্ষোভ থেকে তিনি ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘ফেসবুকে লিখেছি, মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য যে রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তদের অন্তত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু নাগরিক সুবিধা দেওয়া উচিত।’

বর্তমানে দেশে আবাসিক বাড়িতে গ্যাস–সংযোগ বন্ধ। এ অবস্থায় তিনি কেন এ দাবি করেছেন, জানতে চাইলে নির্মলেন্দু গুণ বলেন, ‘তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নির্দেশ পেলে বাড়িতেও গ্যাস–সংযোগ দেওয়া যাবে। আমি সে জন্যই গ্যাসের সংযোগ দাবি করেছি। শুধু গ্যাস না, রেল ও বিমানের টিকিটও রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তরা দাবি করতে পারে। আমি তো অর্থ দাবি করিনি, কেবল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিনে নিতে চেয়েছি।’

Exit mobile version