parbattanews

ফ্যান থাকলেও সংযোগ নেই কুতুবদিয়া হাসপাতালের ওয়ার্ডে

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরুষ-মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডের ৪টি সিলিং ফ্যান ৯ মাসেও মেরামত হয়নি। ফলে প্রচণ্ড গরমে ভর্তি রোগীদের দিন-রাত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুত হাসাপাতালে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন করা হয়। স্থানীয় সাংসদের সহায়তায় বিশাল বাজেটে পুরো হাসপাতাল বিশেষ করে ইনডোরে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ৪টি ডিসি সিলিং ফ্যান লাগানো হয়। গত বছরে জুন মাসে অতিরিক্ত লোড থাকায় ফ্যানের সংযোগ কেটে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

রোগীসহ দায়িত্বরত নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্যান্য কর্মচারীরা গরমে অতিষ্ট হয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯ মাসেও ওই ফ্যানের সংযোগ দেয়া হয়নি।

হাসপাতালের স্টোর কিপার রুহুল আমিন জানান, প্রথমে অতিরিক্ত লোডের কারণে ফ্যানের সংযোগ সাময়িক ভাবে কেটে দেয়া হয়। তবে জুন-জুলাইয়ে ভবনের সংস্কার কাজের সময় পানি ব্যবহার করতে গিয়ে সবগুলো ফ্যানের ভিতর পানি ঢোকে। ফলে তখন থেকে বন্ধ রয়েছে ফ্যান। দায়িত্বরত একজন নার্স বলেন, পুরো ইনডোরে কোন ফ্যান ঘোরে না। তাদের ডিউটি রুমে একটি ফ্যান থাকলেও বেশিভাগ সময় তা চালানো সম্ভব হয়না।

অপর দিকে হাসপাতালে সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিদ্যূৎ উৎপাদন কেন্দ্রের সরবরাহকৃত বিদ্যুতের সংযোগ থাকলেও এসি ফ্যান লাগানো হয়নি। যে কারণে দিনে দূরের কথা মধ্য রাত পর্যন্তও রোগীরা বাতাস পায়না। এ সময় রোগীদের হাত পাখাই একমাত্র ভরসা। অনেক সময়ই পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় জেনারেটর ত্রুটির কারণে । সুইপার নেই। নানা সমস্যায় এখন জর্জড়িত হাসপাতালটি।

ভর্তি রোগী দেখতে এসে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খোরশেদ আলম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, হাসপাতালে সেবার ঘাটতি রয়েছে অনেক। প্রচণ্ড গরমে স্বল্প সময়ের জন্যও ফ্যানের সুবিধা না থাকলে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সুনাম কোথায় থেকে আসবে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ জায়নুল আবেদীন বলেন, অন্তঃবিভাগে ৪টি ডিসি সিলিং ফ্যান রয়েছে। তবে অতিরিক্ত লোড থাকায় সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছিল। সংস্কার কাজের সময় ফ্যানগুলোতে পানি ঢুকেছে কি না, তা তিনি অবগত নন। চলতি গরম মৌসুমে ফ্যানগুলো পূনঃসংযোগ বা মেরামতের প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version