বক আর পানকৌড়ির অভয়ারণ্য পানছড়ির ৩ বিজিবি

খাগড়াছড়ির পানছড়ি লোগাং জোনে অভয়ারণ্য গড়ে উঠেছে হাজারো সাদা বক আর কালো রংয়ের পানকৌড়ি। শীতের আগমনী বার্তালগ্নে মাইলের পর মাইল ছুটে এসে কিছু অতিথি পাখিও যোগ দিয়েছে এই অভয়ারণ্যে।
পানকৌড়ি আর সাদা বকসহ বাহারী রঙের নানান জাতের পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠে লোগাং জোন সদর দপ্তর, হাসান নগর, কলাবাগান ও পাইলট ফার্ম এলাকা। সবুজ প্রকৃতির বুকে পাখির ডানা ঝাপটানো শব্দ আর কিচির-মিচির ডাকে সকাল-সন্ধা মুখরিত থাকে পুরো এলাকা। প্রকৃতির নতুন রুপ আর বিচিত্র পাখিদের বিচরণে আকৃষ্ট করছে সকলকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ভোরেই পাখির দল খাবারের সন্ধানে ডানা মেলে উড়ছে খোলা আকাশে। বিভিন্ন জলাশয়, পুকুর, ডোবা আর চেংগী নদীতে ভেসে বেড়ায় কালো রংয়ের পানকৌড়ি। তাদের মাছ শিকারের দৃশ্যটাই সকলের নজর কাড়া। পাখিদের কিচির- মিচির শব্দে মোটেই বিরক্ত নয় বিজিবি’র সদস্যরা। কিছু কিছু শালিকও আশেপাশে ঘুরে বেড়ায় আনমনে।
তবে সন্ধা লগ্নেই দেখা মিলে নয়নাভিরাম দৃশ্য। অচিনপুর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে কিছুক্ষণ বিমানের মতো ভেসে বেড়ায় বিজিবির জোন সংলগ্ন আকাশে। খোলা আকাশে কয়েক চক্কর মেরে বসে পড়ে বড়ো বড়ো গাছগুলোর মগডালে। তখন সাদা বক আর কালো পানকৌড়ির মিশ্রণে গাছগুলোও হয়ে উঠে পাখির আবাসস্থল।
কলাবাগানের শরীফুল ইসলাম, সুজন ও আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা প্রতিদিন পাখিদের আনা-গোনা, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ানো আর কিচির-মিচির শব্দ দারুণভাবে উপভোগ করি। এছাড়াও তারা জানায় পাখিদের জন্য লোগাং জোন সদর দপ্তর অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।