বখাটের অত্যাচারে কলেজ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: বাঙ্গালহালিয়ায় মানববন্ধন
রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়ায় বখাটে কর্তৃক হয়রানীর শিকার হয়ে নির্ধারিত বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ায় বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে শামীমা (১৮) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী। নিহত শামীমা শফিপুর এলাকার মাহিন্দ্র ড্রাইভার সাহেব আলীর একমাত্র কন্যা ও বাঙ্গালহালিয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
রবিবার (৩ নভেম্বর) রাতে মুঠোফোনের মাধ্যমে শামীমার পূর্বের নির্ধারিত বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার খবর পেয়ে সে বিষ পান করে। এ সময় তাকে স্থানীয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে রাতে মারা যায়। সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য নিহত শামীমার মরদেহ রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে শামীমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী বখাটে যুবক রানাকে গ্রেফতারের দাবিতে বাঙ্গালহালিয়া বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে তার সহপাঠি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। মানরবন্ধনে শামীমার কলেজের সহপাঠি ও অভিভাবকরা জানিয়েছে, শামীমা অপমান সইতে না পেরে রবিবার রাতে নিজ বাড়িতে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এ জঘণ্যতম নির্মম ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতা বখাটে রানাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে তারা।
নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসীর অভিযোগ বাঙ্গালহালিয়ার ডাকবাংলা পাড়ার বাসিন্দা শহীদের ছেলে মটর সাইকেল চালক বখাটে রানা কিছু নোংরা ছবিকে এডিট করে শামীমার প্রবাসী হবু স্বামীর ইমু নাম্বারে পাঠিয়ে শামীমাকে বিয়ে না করার জন্য হুমকি প্রদান করে। হবুবর বিষয়টি ইমু নাম্বারে প্রেরণ করে এ সময় উভয়ের মাঝে কথাকাটি হয়। পরে লোক লজ্জার ভয়ে শামীমা বিষপান করে এবং রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনার পর থেকে বখাটে যুবক রানা পলাতক রয়েছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হইলে চন্দ্রঘোনা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ উদ্দিন বলেন, একজন কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে শুনেছি। যদি পরিবারের কাছ থেকে মামলা করে তাহলে দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।