বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে ঠিকাদার নিয়োগ দিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে বাংলাদেশ তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১টার মধ্যে আগ্রহী তেল-গ্যাস কোম্পানিকে দরপত্র জমা দিতে হবে।
রবিবার (১০ মার্চ) নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা।
দরপত্রে বলা হয়েছে, কোনো কোম্পানিকে দরপত্রে অংশ নিতে হলে নিজ দেশের বাইরে অন্তত একটি কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দিনে অন্তত ১৫ হাজার ব্যারেল তেল বা ১৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদনের অভিজ্ঞতা লাগবে। ঠিকাদার হতে চাইলে দুটি কোম্পানি মিলে অংশীদারত্ব কোম্পানি গঠন করতে পারবে। তবে কোনো একটির অন্তত শর্ত পূরণের যোগ্যতা থাকতে হবে। অগভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) ১০ শতাংশ মালিকানা সংরক্ষিত থাকবে।
২০১২ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সর্বশেষ দরপত্র ডাকা হয়েছিল ২০১৬ সালে। এরপর ২০১৯ সালে নতুন উৎপাদন অংশীদারি চুক্তি (পিএসসি) করা হলেও দরপত্র ডাকা হয়নি। গত বছরের জুলাইয়ে নতুন পিএসসি চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এখন গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লক আছে। এর মধ্যে অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ওএনজিসি। বাকি ২৪টি ব্লকে নতুন করে এই দরপত্র আহ্বান করা হলো।
দরপত্রের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার বাজারের ভিত্তিতে আবিষ্কৃত তেলের ন্যায্যমূল্য নির্ধারিত হবে। অনুসন্ধানকাজের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনতে কোনো আমদানি শুল্ক দিতে হবে না। কোম্পানির করপোরেট আয়কর পরিশোধ করার দায়িত্ব পেট্রোবাংলার। দ্বিমাত্রিক জরিপ চালানো বাধ্যতামূলক। অনুসন্ধানকাজের আরও কিছু ন্যূনতম বাধ্যবাধকতা আছে। ইতিমধ্যে বিদেশি কোম্পানি দিয়ে সমুদ্রে পেট্রোবাংলার পরিচালিত বহুমাত্রিক জরিপের তথ্য কিনে নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।