parbattanews

বনাঞ্চলের গাছ পাচারের নিরাপদ ট্রানজিট চকরিয়া- লামা-ফাইতং সড়ক !

গাছ পাচার অব্যাহত থাকলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার সীমান্ত লামা ও আলীকদম উপজেলার সরকারি বিভিন্ন বনাঞ্চল কাঠ ও গাছ পাচারের এখন নিরাপদ ট্রানজিটে পরিণত হয়েছে চকরিয়া-লামা-ফাইতং এবং বানিয়াছাড়া সড়ক ! চকরিয়ার সীমান্ত ফাইতং সড়কে বন বিভাগের কোন চেকপোস্ট ও টহল না থাকায় পাচারকারীরা ট্রক ও পিকআপ ভর্তি করে প্রতিনিয়তই সরকারী বনাঞ্চলের গাছ কেটে পাচার করে আসছে অরক্ষিত অভ্যান্তরিণ সড়ক ব্যবহার করে। এরফলে বৃক্ষ শূণ্য হওয়ার পথে এসব বনাঞ্চল। এভাবে গাছ পাচার অব্যাহত থাকলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়েরও আশঙ্কা করছেন স্থানীয় পরিবেশবাদীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত অর্থ বছরে প্রায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে (লামার গজালিয়ার ব্রিকফিল্ড হতে ফাইতং বাজার পর্যন্ত) সড়কটির উন্নয়ন কাজ শেষ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) লামা। সড়কটি নির্মাণের পরে ফাইতং ইউনিয়নের সাথে লামা উপজেলা সদরের সরাসরি যোগাযোগ সৃষ্টি হয়। কিন্তু এখন সড়কটি ব্যবহার করে বনাঞ্চলের গাছ পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সংঘবদ্ধ একটি গাছ পাচারকারী চক্র।

অভিযোগ উঠেছে, নতুন এই সড়কটিতে বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন চেকপোস্ট ও সরাসরি নিয়ন্ত্রণ না থাকায় অবৈধ কাঠ, পাথর, লাকড়ি ও বালু পাচারকারীদের জন্য নিরাপদ মাধ্যমে পরিণত হয়।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সকালে লামা ফাইতং সড়কের মিনঝিরি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় সরকারি বনাঞ্চলের মাদার ট্রি গর্জন গাছ ভর্তি একটি ট্রাক দূর্ঘটনায় পতিত হয়। গতরাতে লামা বন বিভাগের আওতাধীন বমু বিলছড়ি সরকারি রিজার্ভ থেকে চুরি করে মূল্যবান গর্জন গাছ গুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছিল সংঘবদ্ধ কাঠ চোর সিন্ডিকেট।

অতিরিক্ত গাছ লোড করে নেয়ার সময় টিএস ট্রাকের চাকায় নতুন সড়কটির বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই বিষয়ে এলাকার লোকজন ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা ও ফাইতং পুলিশ ফাঁড়ির উদাসিনতাকে দায়ি করছেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য লামার ডলু ছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।

এদিকে স্থানীয়রা লামা ও আলী কদমের বনাঞ্চল থেকে গাছ পাচারের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বন বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version