বন্যপ্রাণী শিকারের অভিযোগে আটক তিনজনকে ছেড়ে দিল বন কর্মকর্তা


কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বনের পশু-পাখি শিকারের অভিযোগে তিনজনকে রাত-দিন আটকে রেখে পরে মোটা অংকের উৎকোচ, খালি স্ট্যাম্প স্বাক্ষর ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ঈদগাঁও রেঞ্জের অধীন ভোমরিয়াঘোনা বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
গত বুধবার (২০) রাতে ভোমরিয়াঘোনা বনবিট কার্যালয়ে এ আকাম সংঘটিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ১৯ মে বিকালে ভোমরিয়াঘোনা বনবিট সংলগ্ন ধুইল্যা জিরি নামক স্থানের দোকানে অবস্থানকালে ঈদগাঁও ইউপির সাত নং ওয়ার্ড ভাদিতলার নুরুল ইসলাম ও পেটান আলীকে বন বিভাগের লোকজন ধরে বনবিট কার্যালয় নিয়ে যায়।
সেখানে তাদের বিরুদ্ধে বনের পশুপাখি শিকারের অভিযোগ তুলে রাত দিন আটকে রাখা হয়। পরদিন বুধবার তাদের আত্মীয় রমিজ তাদের দেখতে গেলে তাকেও আটকে রাখে বনবিট কর্মকর্তা মমিনুর রহমান। দীর্ঘ দেনদরবারের পর বুধবার রাতে অর্ধলক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে খালি স্টাম্পে স্বাক্ষর ও ঘটনা কাউকে বলবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ ওটা বিট কর্মকর্তা মমিনুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে আটকের সময় তাদের কাছে কোন পশুপাখি পাওয়া যায়নি স্বীকার করে বলেন , আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের অনুরোধে পশু পাখি শিকার করবে না মুচলেকা নিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয় । টাকা ও খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা উজ্জ্বল হুসাইনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি আটকের কথা শুনেছেন। তবে বিস্তারিত জেনে বলতে হবে বলে জানান।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বনের কোন পশু পাখি হাতেনাতে ধরা ছাড়া অহেতুক দুইজন লোককে খোঁড়া অভিযোগে আটকে রাখা এবং তাদের দেখতে যাওয়া অপরজনকে আটকে রাখা কোন্ আইনে পড়ে? পরে টাকার বিনিময়ে কিভাবে ছাড়া হলো এ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন।