বন্যায় খাগড়াছড়ির সর্বত্র ক্ষত, বন্যা দুর্গতদের পাশে সেনাবাহিনী ও বিএনপি

fec-image

খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতি আরো উন্নতি হয়েছে। জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক হয়ে আসছে। পানি নেমে যাওয়ায় জমে থাকা কাদা, ময়লা, আবর্জনা সরিয়ে ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করছেন ভুক্তভোগী মানুষ। পানি নামতে শুরু করায় সর্বত্র ক্ষতের চিত্র দৃশ্যমান হচ্ছে। পানি স্রোতে ভেসে ও ভেঙ্গে গেছে সড়ক, ব্রিজ ও সেতু। ভেসে গেছে পুকুরে মাছ ও নষ্ট হয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত। পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য পরিবার। তবে কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি উন্নয়ন সংস্থাগুলো। পর পর পাঁচ দফা বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হলেও ত্রাণ প্রাপ্তি নিয়ে খুশি সাধারণ মানুষ।

বন্যার পর সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে ছিল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী বিরোধী ছাত্ররা। সেনাবাহিনীর সদস্যরা বন্যার পানিতে আটকা পড়াদের উদ্ধ করেছে। সে সাথে দূর্গত এলাকার মানুষের মাঝে সেনাবাহিনী, বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।

বিশুদ্ধ পানির সংকট দূর করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করছে। রাস্তায় ধসে পড়া মাটি সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ সচল করার কাজ করছে সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগ। বিচ্ছিন্ন করা সংযোগ লাইন চালু করছে বিদ্যুৎ বিভাগ। জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান ও পুলিশ মুক্তা ধরের নেতৃত্বে প্রশাসন আগের চেয়ে ছিল আরো সোচ্চার। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররা আত্মগোপনে চলে গেলে বানভাসি মানুষ বরং বিগত দিনের চেয়েও বেশি সহযোগিতা পেয়েছে।

মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ৫ দফা বন্যায় খাগড়াছড়ি জেলার লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জমির ফসল। বন্যা দুর্গতরা জানান, বিগত ৪০ বছরেরও তারা এমন পানি দেখেননি।

জেলার রামগড়ের পাতাছড়া এলাকায় সড়কে উপর ধসে বিশালাকৃতির পাহাড়টি অবশেষে শনিবার ভোর রাতে সরানো সম্ভব হয়েছে। ফলে দুইদিন বন্ধ থাকার পর খাগড়াছড়ি-ঢাকা আঞ্চলিক সড়কে যানবাহন চলাচল সম্ভব হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান।

এদিকে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন ও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূইয়ার পক্ষ থেকে দুর্গত এলাকায় রান্না করা খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন