বন্যার প্রভাবে কুতুবদিয়ায় বেড়েছে মৌসুমি শ্রমিক
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় মৌসুমি কাজের সন্ধানে বন্যাকবলিত এলাকার ধানকাটা শ্রমিকদের আনাগোনা বেড়েছে। এসব শ্রমিকদের বড় একটি অংশ নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসে থাকে। তবে এবারই আউশ ধানকাটার মসুমে দল বেধে এসেছে শ্রমিকরা।
নোয়াখালী মাইজদি মাদারতলী গ্রাম থেকে আসা কৃষক জাকের হোছাইন ভান্ডারী বলেন, বন্যার পানি এখনো উঠানে রয়েছে। বন্যার সময় অন্তত ১৫ দিন ভাত মেলেনি। শুকনো খাবার খেয়ে স্ত্রী, সন্তান নিয়ে দিন পার করেছেন। তিনি একজন কৃষক। বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। কোন আবাদও আর বাকি নেই। তাই জীবনের প্রথম কুতুবদিয়ায় এসেছেন রোজগারের আশায়।
তার মত আরো বিভিন্ন উপজেলা থেকে ধানকাটার শ্রমিক এসে দিন মজুর হিসেবে কাজ করে খায়। অন্যান্য মৌসুম যেমন আমন, বোরো মৌসুমে এসে থাকে বহিরাগত শ্রমিকরা। আবার এখানে কাজ না থাকলে স্থানীয়দের অনেকেই চট্টগ্রামের আশপাশের উপজেলায় যায় ধানকাটা, নোপনের মৌসুমে।
চলতি আউশ মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ১ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আউশ (ব্রি ৯৮, ৪৮ জাতের) ধানের চাষ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়। ধানের ফলন ভাল হলেও সম্প্রতি হঠাৎ বৃষ্টি, ঝড়ে কিছুটা ক্ষতিও হয়েছে চাষিদের। অন্যজেলার চেয়ে কুতুবদিয়ায় শ্রমিকের মজুরি বেশি।
বড়ঘোপ জুলহার পাড়ার ধান চাষি আবুল কালাম বলেন, ধানের মৌসুমে শ্রমিকের চাহিদা বেড়ে যায়। তবে স্থানীয় শ্রমিকদের ৩ বেলা খাবার সহ মজুরি এক হাজার টাকা দিতে হয়। অন্য জেলা থেকে যারা আসে তাদের বেশিরভাগ শ্রমিক দিন প্রতি ৮০০ টাকায় মেলে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, চলতি আউশ মৌসুমে ১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। ফলন ভাল হয়েছে। একই সাথে সব মাঠের ধান পেঁকে যাওয়ায় শ্রমিকের চাহিদা বাড়ে। কৃষকরা দ্রুত ধান ঘরে তুলতে বাড়তি শ্রমিকের উপর নির্ভর করে থাকে। যে কারণে অন্যত্র থেকে শ্রমিকরা এসে থাকেন।