parbattanews

বন বিভাগের মিথ্যা মামলার অভিযোগ: কাপ্তাইয়ে সংবাদ সম্মেলন

কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন এর পক্ষে শনিবার(২৬ ডিসেম্বর) কাপ্তাই জেটিঘাটস্ত কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে বেলা ১২টায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে ।

কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম নুর উদ্দিন সুমন।

লিখিত বক্তব্যে এম নুর উদ্দিন সুমন বলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন ব্যক্তিগত জীবনে একজন সৎ, নির্লোভ জনবান্ধব জননেতা। তিনি একজন দক্ষিণ বন বিভাগের পরিবহনের সফল ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। তার ব্যবসায়ীক সফলতায় ও রাজনৈতিক বিচক্ষণতায় ঈর্ষাণ্বিত হয়ে একটি বিশেষ মহল বন বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশে তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, তিনি ব্যবসায়িক কারণে লক্ষ লক্ষ টাকা বন বিভাগকে রাজস্ব দেন, অথচ তাকেই কাঠ পাচারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র মূলক মামলায় জড়ানো হয়েছে। স্বার্থান্বেষী কুচুক্রী মহলের প্রভাবে দূর্নিতীবাজ বন কর্মকর্তা কর্তৃক বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপিত মিথ্যা অভিযোগ এর ভিত্তিতে বন মামলা নং -০৭/২০১৮(দঃ) এর প্রেক্ষিতে উনাকে ত্রিশ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ বৎসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অনাদায়ে ৯ মাসের জেল প্রদান করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ইতিমধ্যে গ্রেফতার হন এবং রাঙ্গামাটি জজ কোর্ট হতে তিনি জামিন নেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বন মামলার এজাহারে গাছের বেড় ৭-০ ফুট উল্ল্যেখ করা হয়েছে, কিন্ত সরেজমিনে একটি ১০ ফুট ২ ইঞ্চি বেড়ের গাছ জব্দ আলামত হিসাবে প্রদর্শিত হয়েছে, যা চরম ষড়যন্ত্র। জব্দকৃত সেগুন কাঠের সরকারি গড় মূল্য বাস্তবে প্রতিফুটে ১৬০০ টাকা হলেও মামলার মেরিট তৈরি করার প্রমাণ হিসাবে ৫ হাজার টাকা প্রদর্শণ করা হয়েছে, যা নাছির উদ্দিনকে বেআইনিভাবে সাজা প্রদানের জন্য সুবিধা নেওয়া হয়েছে, এছাড়া জব্দকৃত কাঠের দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্ত গাছটি মাত্র ২২ ফুট ৫ ইঞ্চি। এইছাড়া ৮৬৬ ঘনফুট সেগুন গোল কাঠ অপসারণের বিষয়ে আদালতে তথ্য প্রদান করা হয়েছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। দূর্গম পাহাড়ে ৮৬৬ ঘনফুট কাঠ অপসারণে যেখানে ৩০ জন শ্রমিকের নূন্যতম ৬০ দিন সময় লাগে সেখানে কিভাবে তিনি সংরক্ষিত বনে একা প্রবেশ করে নিজ হাতে সেগুণ গাছ কর্তন করতে পারে। আমরা এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা জানাই, মহান সংবিধান ও সত্যের আড়ালে একজন ন্যায় ও নিরীহ সম্মানিত ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলা হতে অব্যাহতি প্রদান এবং এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

Exit mobile version