পার্বত্য নিউজ রিপোর্ট:
খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়িতে সন্ত্রাসীরা দুই স্কুল শিক্ষকসহ ৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে অপহরণ করেছে। কুখ্যাত সন্ত্রাসী জঙ্গী চাকমার নেতৃত্বে সেনা-মদদপুষ্ট বোরকা পার্টির সদস্যরা এই অপহরণের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এক বিবৃতিতে দাবী করেছে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট।
গতকাল ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাত ১১টা থেকে আজ শনিবার সকালের মধ্যে তাদেরকে অপহরণ করা হয়।
অপহৃতরা হলেন, রিজার্ভ পাড়া গ্রামের গোরাঙ্গ চাকমা (৪৫) পিতা সূর্যসেন চাকমা, বাকছড়ি গ্রামের সুরেশ চাকমা(৩০) পিতা রবীন্দ্র চাকমা, ন’কাবা ছড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বর্মাছড়ি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্যামল জ্যোতি চাকমা (৪০) পিতা মনচন্দ্র চাকমা, লাবোছড়ি গ্রামের আলাচে মারমা (৪০) পিতা উহ্লাপ্রু মারমা ও কুদুকছড়ি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিনোদ মুন্ডা (৫০)।
শেষোক্ত বিনোদ মুন্ডা সাঁওতাল জাতির সদস্য, বাড়ি কুদুকছড়ি বাজার পাড়া। তিনি জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে সন্ত্রাসীরা বর্মাছড়ি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে হানা দেয়। তারা রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিজার্ভ পাড়ার বাসিন্দা গোরাঙ্গ চাকমা, বাকছড়ি গ্রামের সুরেশ চাকমা ও শিক্ষক হেমল জ্যোতি চাকমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর আজ শনিবার ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে সন্ত্রাসীরা লাবোছড়ি গ্রামের আলাচে মারমা ও সকালে বিনোদ মুন্ডাকে অপহরণ করে।
ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের প্রধান সংগঠক প্রদীপন খীসা এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি অবিলম্বে অপহৃত গ্রামবাসীদের উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বোরকা পার্টির সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে ফটিকছড়ি উপজেলার খিরামের সুলতান্যা বিল এলাকায় সশস্ত্রভাবে অবস্থান করে অপহরণ, চাঁদাবাজি সহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। কয়েকদিন আগে জনতা লক্ষ্মীছড়িতে এক বোরকা সন্ত্রাসীকে ধরে প্রতিরোধ কমিটির কাছে তুলে দেয়। তারও আগে বেশ কয়েক বার পিসিপির অনুষ্ঠানে হামলা করতে গেলে জনগণ সংগঠিত হয়ে বোরকাদের প্রতিরোধ করে।