parbattanews

বর্ষাকালের আগমন বার্তা কদম ফুল

কবাখালী বাজার, দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি, ৩ জুন। ছবি: আব্দুর রহমান

প্রকৃতির নিয়মে বর্ষার স্মারক বহন করছে কদম ফুল। কদমের শুভ্ররাগে হৃদয় রাঙিয়ে নেয়ার সুযোগ সবাই পাচ্ছে। তাইতো বর্ষায় গাছে গাছে ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে কদম ফুল।

সবুজ পাতার মাঝে গোলাকার সাদা হলুদ র‌ঙে মি‌শ্রিত ফুল‌টি বুঝিয়ে দেয়, বর্ষা এসে গেছে। প্রকৃ‌তিও যেন কানের দুলে সেজেছে কদম ফুল দিয়ে।

 

চোখ জুড়ানো ঘন সবুজ পাতার মধ্যে সাদা-হলুদ মঞ্জুরি ফুলের চিরচেনা কদম গাছ। বাদল-দিনের প্রথম কদম ফুল করেছ দান, আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের গান/মেঘের ছায়ায় অন্ধকারে রেখেছি ঢেকে তারে এই-যে আমার সুরের ক্ষেতের প্রথম সোনার ধান আজ এনে দিলে, হয়তো দিবে না ক্লান্ত রিক্ত হবে যে তোমার ফুলের ডাল। এ গান আমার শ্রাবণে শ্রাবণে তব বিস্মৃতি স্রোতের লাবনে ফিরিয়া ফিরিয়া আসিবে তরণী বহি তব সম্মান কবিগুরুর বিখ্যাত এই গানের শুভ্র কদম ফুল এখন আর রাঙাতে পারে না মানুষের মন। প্রাণ সখিরে ঐ শোন কদম্বতলে বংশী বাজায় কে?’- এরকম চমৎকার এবং জনপ্রিয় গানের সঙ্গে জড়িয়ে আছে গ্রাম-বাংলার অতি পরিচিত কদমফুল এবং কদম গাছ।

বর্ষার আগমনের সঙ্গে সঙ্গে চোখে পড়ত সেই কদম ডালে ফোটা ফুল থোকা থোকা। বর্ষার আগমনী বার্তা নিয়ে আদিকাল থেকে কদম আমাদের প্রকৃতির শোভা বর্ধন করে আসছে। শুধু সৌন্দর্য নয়, ভেষজ গুণের পাশাপাশি কদমের রয়েছে অর্থনৈতিক গুরুত্বও। বীজ থেকে চারা হয়। চারা গজানোর ৯-১০ বছরের মধ্যে ফুল ফোটে। আষাঢ় মাসে গাছে ফুল আসে। ফুলগুচ্ছ আকারে গোলাকার সাদা বর্ণের হয়ে থাকে।

 

Exit mobile version