parbattanews

‘বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে’

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

আগামী বর্ষার আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে বলে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালককে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আগামী বর্ষার আগে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করতে হবে বলে আমি জানিয়েছি। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালককে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।

প্রসঙ্গত, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) পরিচালনা পর্ষদের বার্ষিক অধিবেশনে যোগ দিতে ইতালিতে যান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তিনি বিশ্বের ক্যাথলিক খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের প্রধান গুরু পোপ ফ্রান্সিসের আমন্ত্রণে ভ্যাটিকান সিটি সফর করেন এবং পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে বৈঠক করেন।

চারদিনের সফর শেষে গত শনিবার রাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার তার বিদেশ সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ও সাফল্যের কথা আমি তুলে ধরেছি। এছাড়া পল্লী উন্নয়নে স্থানীয় সরকারের ভূমিকার কথা বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালককে জানিয়েছি।

প্রসঙ্গত, জাতিগত নিপীড়নে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। মিয়ানমারের সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে হামলার ঘটনা নিয়ে গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। তখন থেকে রোহিঙ্গারা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৮ হাজার ২৩৬। সরকারি, বেসরকারি ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় এসব রোহিঙ্গা খাদ্য সহায়তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।

 

সূত্র: জাগোনিউজ২৪.কম

Exit mobile version