parbattanews

বাংলাদেশে আরএসও’র কোনো ঘাঁটি নেই- মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ

DG_BGB_2_653951

পার্বত্যনিউজ ডেস্ক:

বিজিবি’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে প্রতিবেশী দেশে হামলা চালানোর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) ঘাঁটি থাকার ব্যাপারে মায়ানমারের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়ে প্রতিবেশী দেশে হামলা চালানোর কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাদের বলেছি, দেশে আরএসও কোনো ক্যাম্প থাকলে তথ্য দেন। আমরা তাদের বিতাড়িত করবো।’

বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে বিবিজি-বিজিপি গুলি বিনিময়ের প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যা  সাড়ে ছয়টায় পিলখানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক এ কথা বলেন।  এ সময় তিনি নাইক্ষ্যংছড়িতে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত সংঘাতের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। আজিজ আহমেদ আরও বলেন,‘ মায়ানমারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুধু বিজিবিই নয়, সেনাবাহিনীর সহায়তায় নাইক্ষ্যংছড়িতে অপারেশন পরিচালনা করি। কিন্তু আরএসওর কোনো ক্যাম্প পাইনি’। তিনি বলেন, ‘এমনকি ওই দিক দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছয়টি বিপিও (সীমান্ত চৌকি) স্থাপন করি।’

 বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের অতর্কিত হামলায় নিখোঁজ হন বিজিবির নায়েক সুবাদার মিজানুর রহমান। পরে জানা যায় তিনি মারা গেছেন। লাশ আছে বিজিপির হেফাজতে। পরে অবশ্য বাংলাদেশের কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখে শনিবার বিকেলে লাশ ফেরত দেয় মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। তবে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ-মায়ানমার কূটনৈতিক টানাপড়েন।

এ প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় পিলখানায় সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্ভূত পরিস্থিতি তুলে ধরেন মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ। সম্পূর্ণ উস্কানিমূলকভাবে মায়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা বিজিবির টহল দলের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন মেজর জেনারেল আজিজ।

বুধবার নায়েক মিজানের নিখোঁজ ও তার নিহত হওয়ার বিষয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে বিজিবির একটি টহল দল পাইনছড়ি এলাকার ৫২ নং বর্ডার পিলার (বিপি) এলাকায় টহল দেয়ার সময় কোনো প্ররোচনা ছাড়াই মায়ানমার থেকে গুলি চালানো হয়।’‘ আমরা পাইনছড়ির ৫২ নং পিলারের কাছে গিয়ে দেখি, সেখানে গুলি লেগে নষ্ট হওয়া একটি মোবাইল ফোন পড়ে আছে। আর রক্তের ধারা চলে গেছে মায়ানমারের দিকে।’ 

এ সময় দলের অন্যান্য সদস্যরা পিছু ফিরে আসলেও নিখোঁজ হয় নায়েক মিজান। আমরা পাইনছড়ির ৫২ নং পিলারের কাছে গিয়ে দেখি, সেখানে গুলি লেগে নষ্ট হওয়া একটি মোবাইল ফোন পড়ে আছে, আর রক্তের ধারা চলে গেছে মায়ানমারের দিকে। এরপর মায়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নিখোঁজ নায়েক মিজানকে ফেরত চাওয়া হয়।

গত পরশুদিন তারা জানায় তাদের কাছে ডেডবডি আছে। তারা লাশ ফেরত দিতে চাইলে শুক্রবার বেলা তিনটার দিকে ৫২ নং পিলারের কাছে যায় বিজিবির একটি দল। কিন্তু তাদের ওপর এ সময় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোঁড়ে তারা। জবাবে অামরাও পাল্টা গুলি চালাই। এ সময় চারজন বিজিবি সদস্য হারিয়ে যায়।অবশ্য পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।

অবশেষে উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগের পর বেলা পৌনে ৬টার দিকে নায়েক মিজানের লাশ ফেরত দেয় মায়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। একজন মেজরের নেতৃত্বে বিজিবির একটি দল লাশ গ্রহণ করে। তবে তার সঙ্গে থাকা অস্ত্র ফেরত দেয়নি মায়ানমারে সীমান্তরক্ষীরা।

 

Exit mobile version