বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির হানা
বাংলাদেশের দেওয়া মাঝারি টার্গেট তাড়ায় নেমে চাপে পড়ে গিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। আপাতত তাদের চাপ কমাল বৃষ্টি। রান তাড়ায় নেমে বাংলাদেশের দুই তরুণ পেসার শরীফুল ইসলাম এবং হাসান মাহমুদের তোপে পড়ে আয়ারল্যান্ড। চতুর্থ ওভারে দলীয় ২২ রানে অভিজ্ঞ পল স্টার্লিংকে (১৫) মিরাজের তালুবন্দি করেন শরীফুল।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নিকে বোল্ড করে দেন হাসান মাহমুদ। দলীয় ৬৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। তাইজুল ইসলাম নিজের দ্বিতীয় ওভারে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন ওপেনার স্টিফেন দোহেনিকে (১৭)। ১৬.৩ ওভারে আইরিশদের স্কোর যখন ৩ উইকেটে ৬৫, তখন বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে চেমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৬ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় ৩ রানে ‘গোল্ডেন ডাক’ মেরে ফিরেন লিটন কুমার দাস।
অধিনায়ক তামিম ইকবালও ১৪ রান করে মার্ক অ্যাডায়ারের বলে কিপারের হাতে ধরা পড়েন। ১৫ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে কিছুটা সময় পথ দেখান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং সাকিব আল হাসান। ভালো খেলতে থাকা সাকিবকে (২০) গ্রাহাম হিউম বোল্ড করে দিলে আবার বিপত্তি বাঁধে। শান্তর সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। সাবলীল খেলতে থাকা শান্ত ফিফটির কাছে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে বসেন। কার্টিস ক্যাম্ফারের বলে থামে তার ৬৬ বলে ৭ চারে ৪৪ রানের ইনিংস।
৫০ রানের জুটি ভাঙার পর ৩১ বলে ২৭ রান করা তাওহীদ হৃদয় ফিরলে ২৭ ওভারে ১২২ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ৬৫ রানের জুটি গড়েন মুশফিক এবং মিরাজ। ২৭ রান করা মিরাজকে ডকরেল আউট করলে এই জুটি ভাঙে। ৬৩ বলে ফিফটি তুলে নেন মুশফিক।
৩৬তম জন্মদিনে মুশফিক ৬১ রান করে আউট হন জস লিটলের বলে ক্যাচ দিয়ে। শেষদিকে তাইআজুল ৩৬ বলে ১৪ এবং শরীফুল ১৫ বলে ১ ছক্কায় ১৬ রান করে অবদান রাখেন। ৩ উইকেট নেন জস লিটল। ২টি করে নিয়েছেন মার্ক অ্যাডায়ার এবং গ্রাহাম হিউম।