‘বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বলে মন্তব্য করেছে রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা। তিনি আরো বলেন, এরমধ্যে রাজস্থলী উপজেলা একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে একাকার। আমরা সবাই ভাই-ভাই, আমরা সবাই একসাথে চলি, একসাথে খাই, একসাথে উৎসব পালন করি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির এই উদাহারণ দেশময় ও বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ুক এটাই প্রত্যাশা করি।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের হল রুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শান্তনু কুমার দাশের সভাপতিত্বে উপজেলা পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো নানা সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যকার সম্প্রীতি ও ভালোবাসা। আমাদের সমাজে বহু ধর্ম, ভাষা ও জাতির লোক বসবাস করে। সমাজে বসবাসরত সব সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতার মনোভাব হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। মানব সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিগণ এ জীবনে যথাযথভাবে এগুলো অনুশীলন করে থাকবেন। ভাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি না থাকলে কোন জাতি উন্নতি করতে পারে না। ভাতৃত্ববোধ মানুষকে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত করে, মানুষের মধ্যে সহযোগিতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি গুণের বিকাশ ঘটায়। এরফলে মানব সমাজের ঐক্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হয়। অন্যদিকে ভাতৃত্ববোধ না থাকলে মানুষ একে অন্যকে ভালবাসে না। অন্যের কল্যাণ কামনা করে না। স্বীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্যের প্রতি অন্যায়, অত্যাচার ও নির্যাতন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। তারা আসলে মানুষের চরিত্র বহন করে না।
জানা যায়, ধর্মীয় সহিংসতা, সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাবেন। মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ সব ধর্মীয় স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।
সমাবেশে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অংনুচিং মারমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উসচিন মারমা, থানা অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন, ওসি তদন্ত সামশু উদ্দিন, স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুইহলাঅং মারমা, কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি, মৎস্য কর্মকর্তা ছাবেদুল হক, সাংবাদিক আজগর আলী খানসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা, কর্মচারী, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, ছাত্র-ছাত্রী, বিভিন্ন ধর্মীয়গুরু এবং মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।