বাইশারীতে একটি ছোট সেতু পাল্টে দিতে পারে জীবনমান
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ছাদোঅং মার্মা পাড়া সংলগ্ন ধাবনখালী ছড়ার উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ হলে পাল্টে যাবে কয়েকটি গ্রামের জীবন চিত্র। বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ যে পায়ে চলাচলের ছোট ব্রীজটি রয়েছে তাহাও যে কোন মুহুর্তে ধ্বসে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় ছাদোঅং মার্মা পাড়ার বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু ধুংছাই মারমা জানান এই ব্রীজটি দীর্ঘকাল যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রতিদিন এই ব্রীজ দিয়ে শত শত পাহাড়ি বাঙালি পারাপার করে ক্ষেত খামার, চাষাবাদ, রাবার বগান ও কয়েকটি গ্রামে চলাচল করে থাকে। পাশাপাশি স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও পারাপার করে থাকে। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিউল আলম জানান ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজটি দীর্ঘদিন এ অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া ব্রীজটি পায়ে চলাচল ছাড়া আর কিছুই সম্ভব নয়। কোন প্রকার যানবাহন ও চলাচল করতে পারেনা। যার ফলে কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষের চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায় দীর্ঘকাল যাবৎ ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর উপর দিয়ে পারাপার করছে মানুষ, গরু, ছাগল, পাহাড়ে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী।
বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ছড়াটি খরস্রোতে পরিণত হয়। পারাপার হওয়ার সময় ভেসে যায় দ্রব্যসামগ্রীর পাশাপাশি গরু, ছাগলও। ব্রীজটির ওপারে রয়েছে ৩ টি গ্রাম, কয়েকশত একর আবাদি জমি, রাবার বাগান, বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বাগান। দৈনিক যাতায়াতকারীও খুব বেশি।
ধাবন খালীর এই ছড়াটি বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের পানি, আর শুকনো মৌসুমে বোরো আবাদের জন্য বাধ দিয়ে থাকে কৃষকেরা যার ফলে চরম দুর্ভোগ জনসাধারণের। তাই ব্রীজটি নির্মাণ হলে দূঃখ দূর্দশা থেকে মুক্তি পাবে হাজারো মানুষ।
এ বিষয়ে ইউপি মোঃ আলম কোম্পানি বলেন, ধাবনখালি ছড়ার উপর ব্রীজ নির্মাণের ব্যাপারে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে অবগত করেছেন। আগামী বরাদ্ধে উক্ত স্থানে একটি পি আই ও ব্রীজ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
স্থানীয়রা ব্রীজটি নির্মাণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।