বাইশারীতে দীর্ঘ  বছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ, ৯৯৯ এ ফোনে জনমনে স্বস্তি

fec-image

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের থুইলাঅং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামীণ রাস্তাটি রাতের আধারে গাছের খুটি দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার ফলে উক্ত সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী অসংখ্য লোকজনসহ ১০ পরিবারের বসবাসকারীরা এখন বিপাকে।  পরে ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তায় রাস্তার প্রতিবন্ধকতা খুলে দেওয়ায় জনসাধারণের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে এমনটি জানালেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  তবে আশঙ্কা করছেন, যে কোন সময়  আবারও বন্ধ দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারীরা।  ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ জুলাই রাতে।

উক্ত এঘটনায় এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী   মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার (২ আগস্ট)  বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে  একখানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকার  ৫নং ওয়ার্ডের  বাসিন্দা আবদুল জব্বার ও তার ছেলে সাহাবুদ্দিন নিজদের জায়গা দাবি করে অন্তত ১০ পরিবারের ও শত শত লোকজনের চলাচলের পথ বন্ধ করে দেন।  পরে ৯৯৯ এ  ফোন করে পুলিশের সহায়তায়  পথ খুলে দেওয়া হয়। এতে নুরুল ইসলামের কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খাদ্যের অভাবে মারা যায় ৮০টি লিয়ার মুরগী ও অসুস্থ হয়ে পড়ে ৫০০ শতটি।

লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, উক্ত এলাকায় অভিযোগকারী মো. নুরুল ইসলাম এর নিজস্ব মুরগীর খামার ও মাছের প্রজেক্ট  রয়েছে। যদি পনুরায় রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে খাদ্যের  সংকটে মুরগী মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানতে পারেন, এটি একটি দীর্ঘ বছর যাবৎ চলাচলের পথ। সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে  এই রাস্তাটি প্রতি বছর মেরামত করা হয়। উক্ত রাস্তা দিয়ে দশ পরিবারের যাতায়াত ছাড়াও রয়ছে মুরগীর খামার, মৎস্য চাষ, উৎপাদন যোগ্য রাবার বাগানসহ   চাষাবাদের জন্য জমি। যদি আবারও রাস্তা বন্ধ করে দেয় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজনের।

এবিষয়ে অভিযুক্ত আবদুল জব্বার জানান, এটি আমার নিজস্ব জমি, সরকারের নয় তাই বন্ধ করা হয়।

বাইশারী তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) আবুল হাসেম বলেন, আমি  ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে  অবরুদ্ধ পথ খুলে দিয়েছি। একখানা  লিখিত  অভিযোগও পেয়েছি। ঘটনা যাচাই-বাছাই করে সমাধানের চেষ্টা  করব।  অন্যথায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন