parbattanews

বাইশারীতে ‘সাজানো মামলা’য় জামিন পেলেন সংবাদকর্মীসহ ছয় জন

বাইশারী প্রতিনিধি:

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে অভিযোগকৃত মিথ্যা সাজানো মামলায় জামিন পেয়েছে দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রাম ও দৈনিক হিমছড়ি প্রতিনিধি মুফিজুর রহমানসহ ছয় ব্যক্তি। বুধবার  বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালত ছয় ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেন। জামিন প্রাপ্তরা হলো মধ্যম বাইশারী গ্রামের মোঃ আশরাফুজ্জামান, মোঃ ইউছুফ, মোঃ ইউনুছ, সংবাদকর্মী মুফিজুর রহমান, মহিউদ্দিন ও জহির উদ্দিন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মৃত মাস্টার সাব্বির আহামদের পুত্র এমদাদুল্লাহ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন,২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ৩ টার সময়  জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে তার ভাই বোনদের মারধর করে এবং টানা হেঁচড়া করে কাপড় চোপড় ছিড়ে ফেলে।

এছাড়া মারধরের উদ্দেশ্যে দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার বোন ও ছোট ভাইকে আহত করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে তার ভাইকে হুমকি দেয় মর্মে  ৫ ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামী করা হয়েছে স্কুল পড়ুয়া শিশু ছাত্র, সংবাদকর্মীসহ সাতজন পরস্পর আত্মীয়স্বজনদের। অভিযোগকৃত মিথ্যা সাজানো মামলায় এলাকার লোকজন হতবাক হয়ে পড়েন। পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠ তদন্তের দাবীও জানান এলাকার সুশীল সমাজসহ স্থানীয়রা।

সূত্র জানায়, পশ্চিম নারিচবুনিয়ায় ২৭ আগস্ট রাতে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। মামলা বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন বাদীর পিত্রালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী বাদীর কোন পিত্রালয় উক্ত ঘটনাস্থলে আগেও ছিল না এখনও নেই। তার বাবার পিত্রালয় রয়েছে মধ্যম বাইশারীতে। তাছাড়া উক্ত মামলার বাদী এমদাদুল্লাহ বাইশারীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে না বলে স্থানীয়রা জানান। তবে তাকে মাঝে মধ্যে বাইশারীতে এসে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায় বলে অনেকেই জানান।

জানা যায়, মামলায় হয়রানীর শিকার আশরাফুজ্জামানের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে এ মামলা এবং রাতের আঁধারে নিজেরা জমি দখল করে উল্টো মামলা করা হয়েছে।এ ঘটনায় আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে  আদালত বান্দরবানে  ৮ আগস্ট তারিখ  ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা দায়ের করে।আদালত  এ জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করার পর এমদাদুল্লাহসহ তার দলবল আদালতের আদেশ অমান্য করে এ জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আইন ভঙ্গ করে এখন নিজেদের বাঁচাতে  মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিমত।

এলাকাবাসী  মিথ্যা সাজানো মামলার সুষ্ঠ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Exit mobile version