parbattanews

বাইশারীতে ৪৮টি ইয়াবাসহ দোকানদার আটক : স্থানীয়দের দাবি এটি চক্রান্ত

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে ৪৮পিচ ইয়াবাসহ এক দোকানদারকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি বাইশারী ইউনিয়নের উত্তর বাইশারী এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল মোনাফের পুত্র মোঃ শহিদুল্লাহ (২৮)।

বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে তার দোকান থেকে তাকে আটক করা হয়।

বাইশারী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) এনামুল হক ভূইয়া জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এসআই সজল বড়ুয়াসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তার পানের দোকানে তল্লাশি চালিয়ে ক্যাশ ড্রয়ার থেকে ৪৮পিচ ইয়াবা ও ইয়াবা সেবনের কয়েকটি সামগ্রী জব্দ করা হয়।

তিনি আরো জানান, প্রথমে তাকে দেহ তল্লাশি করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে ক্যাশ ড্রয়ার থেকে ইয়াবাগুলো পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়। তাছাড়া স্থানীয় উপস্থিতিতে ইয়াবাগুলো গুনে দেখা যায়, হালকা গোলাপী রংয়ের ৪৮ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট। তিনি আরো জানান, তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্যের সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজুর পক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় কৃষক সমবায় সমিতির সভাপতি আমিনুল হাকিম জানান, শহিদুল্লাহ ইয়াবা ব্যবসায়ী নয়। পরিকল্পিত ভাবে লম্বাবিল এলাকার বাসিন্দা হারুন নামের এক ব্যক্তি লোকজনের মাধ্যমে ফাঁসানো দিয়েছে। তিনি আরো জানান, গত ২৫ নভেম্বর (বুধবার) শহিদুল্লাহর আপন বোনের জামাই মঞ্জুর আলমকে বাইশারী বাজারে মোঃ হারুন এলোপাতাড়ী ভাবে মারধর করছিল। ঐ সময় বোনের জামাইকে মারধরের হাত থেকে ছাড়াতে গিয়ে শহিদুল্লাহও মোঃ হারুনকে কয়েকটি কিল-ঘুসি মারে। বিষয়টি মোঃ হারুন মোবাইল ফোনে আমাকে জানায় এবং তাকে দেখে নেওয়ার হুমকিও প্রদান করে।

স্থানীয় একাধিক লোকজনের দাবি মোঃ শহিদুল্লাহকে চক্রান্ত করে ফাঁসিয়ে দিয়েছে মোঃ হারুন। তাছাড়া শহিদুল্লাহ একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী।

আটক শহিদুল্লাহর ভাই আব্দুর রশিদ জানান, বোনের জামাইকে ছাড়াতে গিয়ে হারুনের সাথে শহিদুল্লাহর ধস্তাধস্তি হয়। এরপরে মোঃ হারুন তাকে যে কোন কৌশলে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি অব্যাহত রাখে। যার ফলে হারুন এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

আটক শহিদুল্লাহ জানান, সে কোনদিন এসব অপকর্মে জড়িত ছিল না এবং এখনো নেই। তাকে মোঃ হারুন ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়েছে।

এ বিষয়ে মোঃ হারুনুর রশিদকে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বলেন, তার সাথে বুধবার (২৫ নভেম্বর) বাইশারী বাজারে জগড়া হয়েছে, এটা সঠিক। সে আমাকে কিল-ঘুসি মারে। বিষয়টি স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী, সাবেক ইউপি সদস্য রমজান আলম বৃহস্পতিবার সমাধান করে দেওয়ার কথা রয়েছে। তাছাড়া সে আমার নিকটতম আত্মীয়। আমি কোনদিন এ সব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হতে পারি না। যদি কেউ বলে থাকে, তাহলে এটা মিথ্যা এবং ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু নয়।

Exit mobile version