বাঘাইছড়িতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের” মডেল কেয়ারটেকার ও সাধারণ কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ

fec-image

উপজেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও রিসোর্স সেন্টারের মডেল ও সাধারণ কেয়ারটেকারের বিরুদ্ধে ইসলামিক ফাউণ্ডেশন মহাপরিচালক ও দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেন তিন শিক্ষিকা। আছমা আক্তার ৩৩নং মারিশ্যা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বেপারী পাড়া কেন্দ্রের (৪১) প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষিকা।

তিনি সাধারণ কেয়ারটেকার মো. আনোয়ার হোসেন ও মডেল কেয়ারটেকার মো. বোরহান উদ্দীন কে ঘুষ ও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন আছমা আক্তার।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পর ২০২০ সালে এসে ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে এমন কথা বলে বোরহান ও আনোয়ার। পরে আমি ৪০ হাজার টাকা তাদের হাতে তুলে দেই। এই টাকা ডিডি স্যার ও জেলা অফিস বাবদ প্রতি বৎসর দিতে হয়। ২০২১ সালের নিয়োগ চলাকালীন সময়ে আমার কাছ পুনঃরায় ৪০ হাজার টাকা দাবি করে, টাকা আমি না দেওয়ায় আমাকে চাকুরীচ্যুত করে।

পশ্চিম মাস্টার পাড়া কেন্দ্রের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষিকা জান্নাতুল নাহার ও বাঘাইছড়ি পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড এর নতুন পাড়ার প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষিকা নুর জাহান, মডেল কেয়ারটেকার সাধারণ কেয়ারটেকার বোরহান ও আনোয়ার বিরুদ্ধে উপজেলা নিবার্হি অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে এক বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হওয়ার পর টাকা ফেরৎ প্রদান করেন বোরহান ও আনোয়ার।

দুজনের যোগসাজশে চাকুরী দেওয়ার নামে বাণিজ্য মো শাহাদাৎ নামে একজন চাকরি প্রত্যাশী তার কাছ থেকে, চাকরি দেওয়ার নামে ২৫ হাজার টাকা ইয়াসমিন নামে এক শিক্ষিকা থেকে ২৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। তাদের চাকুরী দিতে না পারায় টাকা ফেরৎ চাইলে তাদেরকে চাকুরী দেওয়ার আশ্বাস প্রদান করে।

নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তারা বলেন বেতন তোলার পর তাদেরকে ১০০০ হাজার টাকা করে দিতে হয়। টাকা না দিলে হুমকি দিয়ে বলে কেন্দ্র বাতিল করে দিবে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারণ কেয়ারটেকার আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন বিষয়টি সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট।

মডেল কেয়ারটেকার বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এই বিষয়ে আমি অবগত নই। রাঙ্গামাটি অফিসে যখন অভিযোগ গেলো, সেটা আমার আলোচনা পর্যালচনায় বোধগম্য হলো যে, আনোয়ার জড়িত এবং শাহাদাৎ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টিও আমি অবগত। আনোয়ার বিষয়ে অবগত হলেও নিজের বিষয়ে ফিরিস্তি তুলে ধরেন।

এ বিষয়ে ডিডি(উপ পরিচালক)মো. ইকবাল বাহার থেকে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুজনের বিরুদ্ধে ১০টির মত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।

এবিষয়ে উপজেলা নিবার্হি অফিসার শরিফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন একটি অভিযোগ আমার কাছে আসার পর এক বৈঠকে তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম পেয়েছি এবং টাকাও ফেরৎ নিয়ে দিয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন