parbattanews

বাঘাইছড়িতে ৪৮ ঘন্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিন

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি:

জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলায় সড়ক ও নৌপথে অবরোধের আজ ছিল প্রথম দিন। বুধবার ( ১৬ জানুয়ারি) সকাল থেকে অবরোধের কারণে উপজেলায় সড়ক ও নৌ পথে সকল যানবাহন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। দোকানপাট খুললেও বাজার বর্জনের কারণে কোন পাহাড়ি বিক্রেতারা আসেনি। উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা টহল দিচ্ছে।

এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এম এ মঞ্জুর হক জানান, উপজেলায় সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। দোকানপাট খোলা, কিছু গাড়ি চলাচল করছে, যাত্রী কম থাকায় উপজেলা থেকে রাঙ্গামাটির জেলা সদরের উদ্দেশে কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। বিজিবি টহল ও পুলিশ টহল রয়েছে যাতে জনসাধারণ নিরাপদে চলাচল করতে পারে।

এদিকে অবরোধের প্রথম দিনে বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে বাঘাইহাট হাজাছড়া নামক এলাকায় মোটরসাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় অবরোধ সমর্থনে পিকেটাররা।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায় , মোটর সাইকেল চালক মো. নাছির (৪৩) বাঘাইহাট থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা হলে ঘটনাস্থলে গতিরোধ করে মারধর করে এবং মোটর সাইকেলটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে বাঘাইহাট জোন থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়।

উল্লেখ্য, গত ৪ জানুয়ারি বাঘাইছড়ির বাবুপাড়ায় প্রভাত কুসুম চাকমার বাড়িতে জনসংহতিসমিতি (এমএনলারমা) দলের সদস্য বসু চাকমা নিহত হন। সেই ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি বাড়ির মালিক প্রভাত কুসুম চাকমা বাঘাইছড়ি থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমাসহ জনসংহতি সমিতি ও সমিতির সহযোগী সংগঠনের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্যসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছিল। এরই প্রতিবাদে  মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৮ জানুয়ারি একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতারা, বাজার বর্জনসহ ৪৮ ঘন্টা সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেন।

Exit mobile version